আরও ৮০০ টন চাল ও ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা বরাদ্দ

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কর্মহীনদের জন্য আরও ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা ও ৯ হাজার ৮০০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারিভাবে এসব বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দেশের জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এই বরাদ্দ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে ২৮ এপ্রিল আদেশ জারি করা হয়েছে। কর্মহীন ও দুস্থদের বিতরণের জন্য ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার মধ্যে ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ত্রাণ হিসেবে বিতরণ ও ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুখাদ্য কিনতে দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকরা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে এ বরাদ্দ বিতরণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন।
সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস, তাই জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
সরকারি আদেশে শিশুখাদ্য ক্রয়ের শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্টসব বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়মাচার যথাযথভাবে প্রতিফলন করতে হবে। জিটুজি পদ্ধতিতে কিনে মিল্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়োদুধ চলমান কাজে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শিশুখাদ্য হিসেবে খেজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মসুর ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে। জেলা প্রশাসকরা আরোপিত শর্তাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশুখাদ্য কিনে বিতরণ করবেন এবং নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করবেন।
ত্রাণসামগ্রী হিসেবে শাক-সবজি কিনে বিতরণ করা যেতে পারে। প্রত্যেক ত্রাণ গ্রহণকারীতে কমপক্ষে পাঁচটি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ করা যেতে পারে আদেশে বলা হয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফায় ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা (শিশুখাদ্য কেনাসহ) ও ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ