মৌলভীবাজা বড়লেখায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১৬টি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছেন
বড়লেখা প্রিতিনিধিঃঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১৬টি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫ পাঁচ মাস পর ঘরে বিদ্যুৎ পেয়ে উপকারভোগীদের মধ্যে হাসি ফুটেছে। সোমবার (১২ জুলাই) প্রধান অতিথি হিসেবে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এমাজ উদ্দিন সরদার উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভোগা-চাঁনপুর গ্রামে ১৬টি পাকা ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন করেন। বাকিঘরগুলোতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধনকালে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রফিক উদ্দিন আহমদ, ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে নির্মিত প্রায় ৫০টি ঘরের চাবি উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তরের প্রায় পাঁচমাস পেরিয়ে গেলেও ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ ও পানির কোনো ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা না থাকায় ৫০ পরিবারের মধ্যে মাত্র ১৬টি পরিবার ঘরে ওঠে। ঘরে ওঠে চরম দুর্ভোগে পড়েন উপকারভোগীরা। এনিয়ে গত ০৮ জুলাই ‘বড়লেখায় ৫ মাসেও প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে উঠেনি ৩৪ পরিবার’ শিরোনামে সিলেটভিউয়ে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ (‘ক’শ্রেণি) পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় বড়লেখা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৫০টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বড়লেখা সদর ইউনিয়নে ১০টি, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে ১৬টি, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নে ৩টি, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে ৩টি এবং দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়। একেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরগুলোর চাবি হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু মাত্র ১৬টি পরিবার ঘরে ওঠেছে। পানি আর বিদ্যুৎ না থাকায় বাকি ৩৪ পরিবার ঘরগুলোতে ওঠেনি। এর মধ্যে সোমবার ১৬ পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় উপকারভোগীদের মধ্যে হাসি ফুটেছে। বাকিঘরগুলোতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. এমাজ উদ্দিন সরদার সোমবার বিকেলে বলেন, বড়লেখায় প্রথম ধাপে নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ৫০টি ঘরের মধ্যে ৩৫টিতে তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারবেন। আজ (সোমবার) ৩৫টির ১৬টিতে সংযোগ দিয়েছেন। বাকি ১৯টিতে দ্রুত সংযোগ দেওয়া হবে। কাশেমনগর গ্রামের ১৫টি ঘর পিডিবির আওতাধীন এলাকায়, তাই এগুলোতে পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া যাবে না।