সঠিক নিয়ম মেনে চা বা কফি পান করলে মন সতেজ থাকে!

পৃথিবীতে খুব কম মানুষই আছে যারা চা বা কফি পছন্দ করেন না। অধিকাংশই চান এক কাপ চা এ নিজেক সতেজ রাখতে। কারো কারো চা ছাড়া চলেই না। দেশের পাড়া মহল্লা অলিতে গলিতে চা এর দোকান গুলোত চোখ পড়লেই দেখা যায় চা প্রেমীদের প্রচুর ভীড়। চা খেতে খেতে শুরু হয়ে বন্ধুদের আড্ডা যার সময় পেরই কিন্তু আড্ড শেষ হয়না। এক কাপ চা বা কফিতে দীর্ঘক্ষণ চলে মনের মাধুরিমিশিয়ে চলে গল্প আর বন্ধুদের ভালাবাসা ময় আড্ডা।

আমরা কম বেশি সবাই চা খেতে পছন্দ করি কিন্তু চা খাওয়ার সঠিক সময়টা আমরা জানিনা। যার কারণে চা খাওয়ার মাধ্যমেও আমরা অনেক সমস্যায় পড়তে হয় । সঠিক নিয়ম মেনে চা বা কফি পান করলে মন সতেজ থাকে এবং সবকিছু সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়।

আমাদের অনেকের সকাল শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে। চায়ে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এই দু’টি উপাদান শরীরকে ক্যান্সারের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে সক্ষম করে।

আমরা সাধারণত সকালের নাস্তা বা দুপুরের খাবারের পর পরই চা বা কফি পান করি। অনেকেরই এটা প্রতিদিনের অভ্যাস। কেননা চা, কফি পান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে সঠিক সময়ে বা উপায়ে চা না পান করলে তা শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটায়।

কখন চা পান করবেন :

১. খাবার খাওয়ার অন্তত: আধা ঘণ্টা আগে অথবা খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে চা পান করা।

২. সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরে চা বা কফি পান করা।

৩. যাদের রক্তশূন্যতা আছে, কম বয়স্ক মেয়েরা বা যেসব নারীরা বৃদ্ধ নয় তাদের এই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

৪. যাদের হজমে ও অম্লত্বের সমস্যা রয়েছে তাদেরও এই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

আসুন জেনে নিই চা পানের কিছু উপকার ও অপকার :

উপকার: শরীরের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে চায়ের বিকল্প নেই। চা দিয়ে শরীর মনকে ফ্রেশ করাটা একটি সাধারণ বিষয়। তবে এগুলো ছাড়াও চায়ের অনেক স্বাস্থ্যগত উপকার রয়েছে। চা পানের কারণে মূত্রথলির ক্যান্সার পাকস্থলীর ক্যান্সারসহ সব প্রকার ক্যান্সার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

ধমনী ও অপঘাতজনিত রোগের শঙ্কা কমে আসে গ্রিন টি পানের দ্বারা। যত বেশি গ্রিনটি পান হবে ততই এসব রোগের ঝুঁকি কমে আসবে। রক্তচাপ ও স্ট্রোক হ্রাস। গ্রিনটি পানের কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। চাপ ও অবসাদ দূর করে।

ব্ল্যাক টি (কালো চা)পানের কারণে অবসাদ দূর হয়। শরীরে প্রফুল্লতা হারবাল ও মধু মিশ্রিত চা পানের দ্বারা ত্বকের ক্যান্সার কমে। হোয়াইট টি (সাদা চা) অক্সিজেনজনিত চাপ কমাতে অনেক উপকারী হিসেবে প্রমানিত হারবাল চা (গ্রিন,ব্ল্যাক, রেড) পান করলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়বে। তবে সব ধরনের চা-ই মানুষের জন্য উপকারী এবং এর উপকারের বিষয়টি বহুমাত্রিক। এছাড়াও চা পানে- হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, হাড়রক্ষা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অপকার: লাল চা বা সবুজ চা যে ধরণেরই চা হোক না কেন, তা উপকারিতার পাশাপাশি শরীরে অন্য খাবার গুলো থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত করে এবং হজমে বাঁধা সৃষ্টি করে। খাবার খাওয়ার আগে চা পান করলেও হজমে বাঁধাগ্রস্থ হয় এবং খাবার থেকে প্রয়াজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় না।

কেন খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পান করবেন না?

১. চা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করে। কারণ চা বা কফিতে রয়েছে পলিফেনন জেস্টানিন নামক উপাদান যা আয়রন শোষণ করে বা জেস্টানিনের সঙ্গে আয়রন মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

২. চা শরীরে থায়ামিন বা ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে যা বেরিবেরি রোগের অন্যতম কারণ।

৩. চা খাবার থেকে আমিষ ও ভিটামিন শোষণ করে এবং শরীর এই খাবারগুলোকে হজম করতে পারে না

৪. চা এর মধ্যে অ্যাসিডাম টেনিকামস ও জেসথিয়োফিলিনস নামক উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে । সূত্র: উইকপিডিয়া

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ