সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ


সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি চরম অমানবিকতার পরিচয় দিচ্ছে। মহান স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী এবং ৩ বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সরকারের অমানবিক আচরণ তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে চরিতার্থ করার বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে। দেশ থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। কারণ এর সাথে জড়িতরা সরকারের আশির্বাদপুষ্ঠ। অপরদিকে দুই কোটি টাকার কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ফরমায়েসী সাজা দিয়ে দুই বছরেরও বেশী সময় ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে দীর্ঘদিন থেকে দেশনেত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। কিন্তু সরকার দেশনেত্রীর মুক্তি প্রক্রিয়াকে জঠিল করে তুলেছে। আর কোন ষড়যন্ত্র না করে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন, দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া ফরমায়েসী সাজা বাতিল ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা সমুহ প্রত্যাহার করুন।
শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ কর্মসুচীর অংশ হিসেবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত নগরীর ঐতিহাসিক রেজিষ্ঠারী মাঠে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর বিএনপি সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটির সদস্য মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা ও মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকল পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহŸায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, জেলা আহŸায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদ, মহানগর সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম সিদ্দিকী, জেলা আহŸায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান, মহানগর যুবদলের আহŸায়ক নজিবুর রহমান নজিব, জেলা মৎসজীবী দলের আহŸায়ক একেএম তারেক কালাম, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি ইউনুস মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহŸায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল।
মহানগর বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা: আশরাফ আলীর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটির সদস্য আশিক উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর সহ-সভাপতি কাউন্সিলার রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা আহŸায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, মহানগর সহ-সভাপতি সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু ও আমির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী ও হুমায়ুন আহমদ মাসুক, জেলা যুবদলের আহŸায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদ আহমদ মুকুল, জেলা আহŸায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাশেম ও শামীম আহমদ, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, মহানগর দফতর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার, জেলা বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন জায়গীরদার, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সুরমান আলী, জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে হাবিব আহমদ চৌধুরী শিলু, মির্জা বেলায়েত হোসেন লিটন, আল মামুন খান, মামুনুর রহমান, আ ফ ম কামাল, আব্দুল কাহির, আব্দুল মান্নান পুতুল, আব্দুল জব্বার তুতু, বজলুর রহমান ফয়েজ, হাবিবুর রহমান হাবিব, লোকমান আহমদ, আব্দুল মালেক, আমিনুর রহমান খোকন, আব্দুল লতিফ খান, আব্দুল মালেক, এনামুল হক মাক্কু, সুহেল বাসিত, আব্দুর রহিম মল্লিক, উজ্জল রঞ্জন চন্দ্র, কয়েস আহমদ সাগর, সবুর আহমদ, জিয়াউর রহমান দিপন, মজিবর রহমান মুহিব, শফিকুর রহমান টুটুল, আজির উদ্দিন আহমদ, চৌধুরী মো: সুহেল, আতর আলী, মখলিছ খান, শাহেদুল ইসলাম বাচ্চু, হাজী গোলজার মিয়া, জিলা মিয়া মেম্বার, আব্দুস সোবহান, শফিক নুর, আকবর আলী, সালাহ উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, মঈনুল হক স্বাধীন, জাবেদুল ইসলাম দিদার, হাসান মঈনুদ্দিন, জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে আনোয়ার হোসেন মানিক, তোফাজ্জুল হোসেন বেলাল, লিটন আহমদ, আব্দুল্লাহ সাফি শাহেদ, কয়েস আহমদ, ওলিউর রহমান, ফখরুল ইসলাম রুমেল, রায়হান আহমদ, মকসুদুল করিম নোহেল, ওসমান গণি, জয়নুল ইসলাম জনি, নাসির উদ্দিন রহীম, আবুল কালাম, ফখরুল আলম, শ্রমিক দল নেতা মাসুক এলাহী, লিটন আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনিরুজ্জামান মনির, ছালেক আহমদ, সাহেদ আহমদ, আজিজ খান সজীব, ফারুক আহমদ, জীবন আহমদ, আব্দুল মুকিত, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, জেলা ও মহানগর ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে মিনার হোসেন লিটন, হোসাইন আহমদ, রুবেল ইসলাম, আব্দুল মোতাকাব্বির চৌধুরী সাকি, আলী আকবর রাজন, দুলাল রেজা, মাহবুবুল আলম সৌরভ, মুক্তার আহমদ, শাহীন আহমদ, মকসুদুল করিম, হাসান আহমদ হোসাইন, রাজন আহমদ মাসুদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, লিমন আহমদ, মঈনুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম আখল, সাইফুল ইসলাম হিমেল, মোস্তাক আহমদ প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে নাসিম হোসাইন বলেন, কথিত দুর্নীতি কিংবা কোন অপরাধ নয়। জনপ্রিয়তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একমাত্র অপরাধ। গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা ও দেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিনত করতেই গণতন্ত্রের মা কে ষড়যন্ত্রমুলক মামলার ফরমায়েসী রায়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। কারান্তরীণ দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন। জামিন তাঁর আইনী ও মৌলিক অধিকার। প্রতিদিনই বিভিন্ন আলোচিত মামলার আসামীরা থেকে শুরু করে ফাসির আসামীরা পর্যন্ত জামিনে মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার আইন ও মানবাধিকারের প্রতি বুদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাঁকে জামিন দিচ্ছেনা। দেশনেত্রীর মুক্তি নিয়ে আর কোন টালবাহানা মেনে নেয়া হবেনা। সরকারের মধ্যে ন্যুনতম মানবতাবোধ থাকলে অবিলম্বে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন। অন্যথায় রাজপথের কঠোর আন্দোলনেই দেশনেত্রীর মুক্ত করা হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ