‘কাদিয়ানীদেরকে যারা কাফের বলে না, তারাও কাফের’
‘কাদিয়ানী তথা আহমদিয়া মুসলিম জামাতের অনুসারীরা কাফের। এতে কেউ সন্দেহ রাখতে পারবে না। কাদিয়ানীরা যে আকীদা-বিশ্বাস মেনে চলে তা বিশ্বাস করলে কেউ মুসলিম থাকতে পারে না। কারণ তারা মুসলমান নয়। কাদিয়ানীদেরকে যারা কাফের বলে না, তারাও কাফের। তার কোন সন্দেহ নেই। কাদিয়ানীদেরকে কোন মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। যদি দাফন করা হয় কবর থেকে তুলে নদীতে ভাসিয়ে দিতে হবে ‘
শনিবার রাতে সিলেটের ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের জামেয়া আরাবিয়া ইসলামিয়া ধনকান্দি মাদ্রাসার ২২তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
আল্লামা শফী বলেন, কাদিয়ানীকে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়েছে। ৭টি বিভাগীয় শহরে ইতোমধ্যে কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আমরা নারায়নগঞ্জ সমাবেশ করেছি কাদিয়ানী বিরোধী। সেখানে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। সবাই হাত তুলে ওয়াদা করেছেন কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার। আমাকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে লোক এসে বলছে, হুজুর কাদিয়ানীরা তো মুসলমান। আপনারা আন্দোলন করবেন না। আমি তাদেরকে বলেছি, কাদিয়ানীরা আমাদের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (স.) কে শেষ নবী মানে না। এজন্য তারা কাফের। কাদিয়ানীরা এদেশে থাকতে পারবে, তবে মুসলমান হিসেবে নয়, অমুসলিম হিসেবে। সরকার প্রধানকে আপনারা বলুন কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে। যদি অমুসলিম ঘোষণা করেন আমরা কোন আন্দোলনে যাবোনা।
মাহফিলে বিভিন্ন অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন মাওলানা শায়খ মোহাম্মদ বিন ইদ্রিস লক্ষীপুরী, মুফতি মুহিব্বুল হক গাছবাড়ি, জামেয়া আরাবিয়া ইসলামিয়া ধনকান্দি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান ও শিক্ষাসচিব মাওলানা নেজাম উদ্দিন।
মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা তোফায়েল আহমদের পরিচালনায় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে রিপোর্ট পড়ে শুনান মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান।
অন্যান্যর মধ্যে বয়ান পেশ করেন দারুল উলূম দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা হাবিবুর রহমান আজমী, আল্লামা সৈয়দ আফফান মনসুরপুরী ভারত, শায়খুল হাদীস মুফতি মুজিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল খালিক বাহুবলী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম জালালাবাদী, মাওলানা তজম্মুল আমিন প্রমুখ।