‘সিলেটে ওরাল ক্যান্সারের রোগী বেশি’

‘প্রতিনিয়ত মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে সারা দেশের তুলনায় সিলেটে দিনদিন ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর কারণ পান সুপারির সাথে তামাকের ব্যাবহার। সিলেটে ওরাল ক্যান্সারের রোগী বেশি। মোট রোগীর ৯০ ভাগ ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। এ জন্য পান সুপারির সাথে তামাকের ব্যাবহার কমাতে হবে। ক্ষতির দিক থেকে ধূমপানের চেয়ে তামাক কোন অংশেই কম নয়।’

মঙ্গলবার বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে নর্থ ইষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে র‌্যালি পূর্ব সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

র‌্যালীতে কলেজের শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, সেবিকা এবং হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশ নেন। র‌্যালীটি হাসপাতাল প্রাঙ্গন থেকে বের হয়ে আব্দুস সামাদ আজাদ চত্তর ঘুরে পুনরায় হাসপাতালে ফিরে আসে।

‘আমি আছি, আমি থাকবো ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত হচ্ছে।

র‌্যালী পূর্ব সমাবেশে ক্যান্সারের কারণ, প্রতিকার ও করণীয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন অনকোলজী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মো: মোকলেছ উদ্দিন, ক্লিনিক্যাল অনকোলজিষ্ট ডাঃ দেবাশীস পাঠোয়ারী ও ডাঃ মো: তৈমুর হোসেন তালুকদার, অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল জলিল বড় ভূইয়া, অধ্যাপক ডাঃ মাসুকুর রহমান চৌধুরী, দন্ত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ ইমরান আহমদ, সার্জারী বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ গোলজার আহমদ প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের কার্যক্রমের কারনে আশপাশের মানুষগুলোকে যদি ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে অবগত করতে পারি এবং সচেতনতা বাড়াতে পারি তবেই দিবসটির স্বার্থকতা। এ জন্য পরিবার , জনপ্রতিনিধি, সমাজপতি সবাইকে নিজনিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই মিলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করবো এটাই পণ হওয়া উচিত।

ক্লিনিক্যাল অনকোলজিষ্ট ডাঃ দেবাশীস পাঠোয়ারী জানান, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত নর্থ ইষ্ট ক্যান্সার হাসপাতালে ১০৪৩ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য আছেন ৪৯৩ জন, মারা গেছেন ২৯৯ জন এবং ২৫১ জনকে চিহিৃত করা সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ