৩০ মার্চ সালমান শাহ মৃত্যুর প্রতিবেদন
অভিনেতা সামলান শাহ অপমৃত্যুর মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে। রোববার মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তা দাখিল করেনি।
এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ যুগান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন ওরফে সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই সময় সালমানের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সালমানকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন করা হয়।
অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।
তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। সেখানে সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়।
এরপর সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করা হলে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
সেখানেও সালমানের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং পরবর্তীতে নারাজি আবেদন করেন।
নারাজি আবেদনে আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন সালমান শাহর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা বলা হয়। আদালত নারাজি আবেদনটি মঞ্জুর করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানকে (র্যাব) মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর মামলাটিতে র্যাবকে তদন্ত দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন।
ওই বছরের ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক ইমরুল কায়েশ রিভিশন আবেদন মঞ্জুর করে র্যাব মামলাটি আর তদন্ত করতে পারবে না বলে আদেশ দেন।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।