বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শিরোপা রাজশাহীর

খেলা ডেস্ক: খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালস।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিপিএলের ফাইনালে খুলনাকে ২১ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপা জয় করে।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে রাজশাহী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৯ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।

১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই নাজমুল হোসেন শান্ত মোহাম্মদ ইরফানের বলে লিটন দাসের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন। পরের ওভারেই মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন রাহির বলে ১১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় খুলনা।

তবে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে শোয়েব মালিকের বলে রাইলি রুশোর ক্যাচ ফেলে দেন আবু জায়েদ রাহি। যদিও পরে টিভি রিপ্লে দেখা যায় বলটি নো ছিলো। তৃতীয় উইকেট জুটিতে শুরু চাপ সামাল দেন রুশো ও শামসুর রহমান শুভ। এই দুইজনের ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে খুলনা। তবে দলীয় ৮৫ রানের মাথায় রুশো ৩৭ রান করে আউট হন। ভাঙে ৭৪ রানের জুটি।

অর্ধ-শতক তুলে নেন শুভ। ৪৩ বলে ৫২ রান করে শুভ বিদায় নেন কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে। একই ওভারে নাজিবউল্লাহ জাদরানও (৪) সাজঘরে ফেরত যান। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে যায় খুলনা। এক প্রান্ত আগলে ছিলেন অধিনায়ক মুশফিক। তবে রাজশাহীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেননি মুশি। ২১ রান করে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের বলে মুশফিক বোল্ড হলে রাজশাহীর জয়ের আশা ক্ষীণ হয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৪৯ রানে থেমে যায় খুলনার ইনিংস। ২১ রানে জয়ে শিরোপা ঘরে তোলে রাজশাহী।

রাজশাহীর রাব্বি, ইরফান ও আন্দ্রে রাসেল দু’টি এবং আবু জায়েদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহীর স্কোরবোর্ডে ১৪ রান যোগ হতেই বিদায় নেন ওপেনার আফিফ হোসেন (১০)। চাপটা সামাল দিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন আরেক ওপেনার লিটন দাস ও ইরফান শুকুর। দুজনে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। তাদের এ জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। ব্যক্তিগত ২৫ রানে সাজঘরে ফেরেন ধীর-গতির ব্যাট করতে থাকা লিটন। সতীর্থকে হারালেও ব্যাটে ঝড় অব্যাহত রেখে ফিফটি তুলে নেন শুকুর। দলীয় ৯৯ রানে মোহাম্মদ আমিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তিনি ৩৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রান করেন তিনি। তার আগে ব্যক্তিগত ৯ রানে রবি ফ্রাইলিংকে উইকেট উপহার দেন শোয়েব মালিক।

তবে শেষদিকে ঝড় তুলেন আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনে শেষ ৩২ বলে করেন ৭০ রান। রাজশাহী অধিনায়ক রাসেল ১৬ বলে ৩ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ২৭ রানে। ২০ বলে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন নওয়াজ। পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চার ও ২ ছক্কায়।

খুলনার মোহাম্মদ আমির দু’টি এবং রবি ফ্রাইলিংক ও শহিদুল ইসলাম একটি করে উইকেটে নেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ