ঢাকার সাভারে একটি বাড়ির কক্ষ থেকে এক শিশু ও তার বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
ভাদাইল পবনারটেক রূপায়ন গেট এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে শনিবার রাত ১০টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতরা হলেন, ছবুর মিয়া, তার স্ত্রী রোজিনা বেগম ও তাদের নয় বছরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। তাদের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী থানার চরগ্রোব গ্রামে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন।
তিনি বলেন, ‘জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছেন ছবুর মিয়া। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে রহস্য উদ্ঘাটন হবে।’
ছবুরের ভাই শহীদ আলী বলেন, ‘আমার ভাই রিকশা চালাতেন, ভাবি পোশাক শ্রমিক। গত ৩ নভেম্বর জমি বন্ধকের টাকা দিয়ে কেনা নতুন রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি আমাকে জানিয়ে ভাই বলেছিলেন ঘটনাটি যেন ভাবিকে না জানাই।
‘শুক্রবার থেকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে শনিবার সন্ধ্যায় আমার বোনকে নিয়ে তাদের বাসায় আসি। কিন্তু দরজা বন্ধ ছিল। ডাকাডাকিতে সাড়া না দেয়ায়, দরজার নিচ দিয়ে উঁকি দেই।
দেখি ভাই দড়িতে ঝুলছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশকে খবর দেই। তারা এসে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে। মনে হয় রিকশা চুরি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল।’
এই বক্তব্যের বিষয়ে এসআই আল মামুন বলেন, ‘রিকশা চুরির ঘটনা আমরা জানতাম না। তদন্তের পর এ বিষয়ে জানাতে পারব।’