প্রতিবন্ধী শিখা রানী ৯ বছর ধরে খাঁচায় বন্দি

 

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার পূর্বফুল কাউন নাইর গ্রামের মদন চন্দনা দম্পতি দীর্ঘ ৯ বছর ধরে নেটের খাঁচায় বন্দি করে লালনপালন করছেন তাদের বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ১১ বছরের মেয়ে শিখা রানী দাসকে। অর্থের অভাবে চিকিৎসাটুকু দিতে পারছে না এই দরিদ্র পরিবারটি। অনাহারে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এই মদন চন্দনা দম্পতি। যদিও কালুখালী উপজেলা প্রশাসন এই বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিখা রানীকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।

জন্মের পর থেকে শিখা রানী বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী। বর্তমান বয়স তার ১১ বছর। ২ বছর বয়স থেকেই তাকে নেট দিয়ে খাঁচা বানিয়ে তার মধ্যে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছর এখানে আটকে রেখে লালনপালন করে আসছে মদন চন্দনা দম্পতি।

জানা যায়, শিখা রানীকে শুধু গোসলের সময় খাঁচা থেকে তাকে বের করা হয়। এ ছাড়া বাকি সময় সে ওই খাঁচার ভেতরেই থাকে।

মদন চন্দনা দম্পতি জানান, প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে আমরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে অনাহারে জীবনযাপন করছি। বসবাসের জন্য এই বাড়িটুকু ছাড়া আমাদের আর কোনো সম্বল নেই। শিখার বাবা দিন মজুরের কাজ করে যা পায় তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে জীবনযাপন করছি।

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন জানান, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও সমাজকল্যাণ অধিদপ্তর সমন্বয়ের মধ্যে প্রতিবন্ধীদের সহায়তা দিয়ে আসছে। আশা করি, প্রতিবন্ধী শিখা রানীকেও সব প্রকার সহায়তা করা হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ