চিরকুট লিখে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর আত্মহত্যা
‘রাশেদকে তুমি বাঁচতে দিও না আম্মু। রাশেদ আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছে। রাশেদ এর কারণে আমি আমার জীবন শেষ করে দিলাম। কারণ রাশেদের বাচ্চা আমার পেটে’- এমন একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর সদর উপজেলার কুঠুরাকান্দা পশ্চিমপাড়া এলাকায়।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ ও একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উদ্ধারকৃত চিরকুটে লেখা রয়েছে, রাশেদ আমাকে বলেছিলো কোনদিন ভুলে যাবে না। এখন আমার সাথে রিলেশন রাখতে চায় না। পারলে তুমি আইনের আশ্রয় নিও। তাকে সুখে থাকতে দিও না।
চিরকুটে আরও লেখা রয়েছে, মৌসুমি, মেঘলা, সাজেদা, আজাদ, খুশি, নিশি, শফিক, মোশারফ ও ময়নালের সহায়তায় তার ও রাশেদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এ অনৈতিক ঘটনা ঘটে। এছাড়াও রাশেদের কাকা তামজিদসহ তারা সবাই মিলে ওই স্কুলছাত্রীর জীবনটা শেষ করে দিয়েছে বলে চিরকুটে লিখা পাওয়া যায়। তাদেরকে ক্ষমা না করার জন্য লেখা রয়েছে ওই চিরকুটে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার কুঠুরাকান্দা পশ্চিমপাড়া এলাকার ঢাকায় অবস্থানরত ব্যবসায়ী রহমতুল্লাহর মেয়ে ওই স্কুলছাত্রীর সাথে পূর্বপাড়া এলাকার অপর স্কুলছাত্র রাশেদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বন্ধুদের সহযোগিতায় ওই স্কুলছাত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে রাশেদ। চিরকুটের লেখা অনুযায়ী এরই মধ্যে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। তবে রাশেদ প্রেমের সম্পর্ককে অস্বীকার করে। এতে দিশেহারা হয়ে অভিমান আর লজ্জায় চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করে ওই স্কুলছাত্রী। পরে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ তার মরদেহ ও চিরকুট উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ ও একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা রহমতুল্লাহ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরো জানান, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।