মৌলভীবাজারে আমন ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা
মৌলভীবাজারে কৃষকরা আমন ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। পাকা আমন ধানের গন্ধে ভরে উঠছে আবহমান গ্রামীণ জনপদ। মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে ধান কাটার উৎসব।
কৃষক-কৃষাণীরা এখন ধান কাটা, বাড়িতে আনা, মাড়াই দেওয়া, মাড়াইকৃত ধান শুকিয়ে গোলায় তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর জেলায় আমনের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকরা।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় আমন ধান চাষাবাদে জমির পরিমাণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২ শত হেক্টর। তার মধ্যে আবাদ হয় ১ লাখ ১ হাজার ৪৮০ হেক্টর। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন ধান।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৯৭০ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ২০৫ হেক্টর। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ৪৯২ মেট্রিক টন।
শ্রীমঙ্গলে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৬৩০ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৫৬৫ হেক্টর। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৩ হাজার ৪৯ মেট্রিক টন।
রাজনগরে আবাদকৃত জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার ৬১৩ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ১৩ হাজার ১০৫ হেক্টর। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৩ মেট্রিক টন।
কমলগঞ্জে জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৩০০ হেক্টর। এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ২৯৫ হেক্টর। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার ৫৭৪ মেট্রিক টন।
কুলাউড়ায় জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯ হাজার ৯৭০ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ২০ হাজার ১৯০ হেক্টর। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।
বড়লেখায় জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৫ শত ৪০ হেক্টর তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৬৭০ হেক্টর। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৩০৫ মেট্রিক টন।
জুড়িতে জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৪৪৭ হেক্টর। তার মধ্যে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর। আবাদকৃত জমিতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৭৯১ মেট্রিক টন।
রাজনগর উপজেলার মহলাল গ্রামের কৃষক আজাদ মিয়া বলেন, এবার সাত একর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারের সঠিক মূল্য পেলে ধানের ভর্তুকি দিতে হবে না।
উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়া, পশ্চিম ভাগ গ্রামের সামছুল মিয়া, জিল্লুর রহমানসহ অনেকেই বলেন অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করি সঠিক বাজার মূল্য পেলে কিছু লাভবান হবো।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী (কৃষিবিদ) জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময়মতো বৃষ্টি হওয়ার করণে রোগ বালাই থেকে ফসল মুক্ত ছিল। তাই আমনের ফলন ভালো হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় ৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।