মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায় অতিরিক্ত ঘুমে!

পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি অতিরিক্ত ঘুমও শরীরে জন্য ক্ষতিকর। বেশি ঘুমের কারণে শরীরে ডায়াবেটিস এবং হার্টের বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া এতে মৃত্যুঝুঁকিও বেড়ে যায়।

তবে সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসকরা বরাবরই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, কম ঘুমের কারণে কর্মদক্ষতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিষণ্নতা জেঁকে বসে শরীরে। তাই সুস্থ থাকতে পরিমিত ঘুমের বিকল্প নেই। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বাড়তি ঘুম শরীরের জন্য ভালো নয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বেশি ঘুমানো ঠিক নয়। অল্প ঘুম হলেও যেমন সমস্যায় পড়তে হয়, তেমনি অতিরিক্ত ঘুমও শরীরে নানা ঝক্কি বয়ে আনে।

মার্কিন গবেষণা থেকে জানা গেছে, কম ঘুম ও অতিরিক্ত ঘুম উভয়ের ফলে হৃদরোগ, স্থূলতা, উদ্বেগ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

প্রায় ৫০ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে তারা দেখেছেন অপর্যাপ্ত ঘুম মানুষের শারীরিক ও মানসিক উভয় দিকে বেশি প্রভাব ফেলে। এর কারণে কার্ডিও ভাসকুলার ডিজিজ ও ওবেসিটি দেখা দেয়। এসব সমস্যা অবশ্য পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। বেশি ঘুমও মানুষের নানা ক্ষতি করতে পারে। আসুন জেনে নেই অতিরিক্ত ঘুমে যেসব ক্ষতি হয়।

১. বেশি ঘুমের কারণে আপনার শরীরে বাসা বাধতে পারে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ।

২. যাদের বেশি সময় ধরে ঘুমের অভ্যাস, একদিন কম ঘুমালেই, তাদের মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

৩. দীর্ঘক্ষণ শোয়ার ফলে হাত চলা বা কোনো রকম মুভমেন্ট হয় না, ফলে মেদ বাড়ার সম্ভাবনা বেশি।

৪. বেশি ঘুমের কারণে কোমরে, পিঠে যন্ত্রনা হতেও দেখা যায় অনেকের।

৫. মানসিক অবসাদে থাকা মানুষ অনেক সময় বেশি ঘুমায়। বেশি ঘুমে মানসিক অবসাদ আরও বেড়ে যায়।

৬. অতিরিক্ত ঘুমে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা দ্বিগুণ বাড়ায়। তাই ওভারস্লিপিংয়ের অভ্যস থাকলে আজই তা ত্যাগ করুন।

৭. খুব কম বা খুব বেশি সময়ের ঘুম মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস করে। নারীরা পাঁচ ঘণ্টার কম অথবা ৯ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নিয়মিত ঘুমালে দুই বছরের জন্য তাদের মগজের কর্মক্ষতা কমে যেতে পারে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ