গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি মিলেছে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানের!
টানা এক মাসের অধিক সময় ধরে গৃহবন্দিত্ব হয়ে পড়ে থাকা সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সেই প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু সন্তানের অবশেষে মুক্তি মিলেছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরজমিনে গিয়ে প্রবাসীর বসতবাড়ি লাগোয়া প্রতিপক্ষের দেয়া বাঁশের বেষ্টনী (বেড়া) উন্মুক্ত করে দেয়ায় ফের স্বাভাবিকভাবে চলাচলের সুবিধা ফিরে পেলেন প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু সন্তান।
জানা গেছে,উপজেলা সদরে রায়পাড়ায় থাকা মালেশিয়া প্রবাসী মতিউর রহমানের শিশু সন্তানের সাথে প্রতিবেশীর শিশু সন্তানের তুচ্ছ বিষয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে মাসখানেক পুর্বে ঝগড়াঝাঁটি হয়।
এ নিয়ে পাড়ার প্রতিবেশী জিয়াউর জেদ মেটাতে প্রবাসী পরিবারের চলাচলের পথে বাঁশের বেষ্টনী (বেড়া) দিয়ে রাখেন। এর ফলে প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু সন্তান কার্যত গত এক মাসেরও অধিক সময় ধরে নিজ বাড়িতেই বন্দিত্ব জীবন যাপন করতে থাকেন।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করিয়ে বাঁশ বেষ্টনীর অপর পাশ থেকে নিকটাত্বীদের মাধ্যমে ওই প্রবাসী পরিবারকে প্রতিনিয়ত গ্রহন করতে হত।এ নিয়ে পাড়া প্রতিবেশী নিকটাত্বীয়রা বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হন।
এদিকে বাঁশের বেষ্টনীর স্থির চিত্র সহ অবরুদ্ধ প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু সন্তান এমন একটি পোষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে ইউএনও’র।
শনিবার দুপুরে উপজেলা সদরের রায়পাড়ায় সরজমিনে ইউএনও বিজেন ব্যানার্জী গেলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁশের বেষ্টনী অপসারণ করিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ও শিশু সন্তানের স্বাভাবিক চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দেন,একই সাথে ভবিষ্যতে এ ধরণের বেআইনি কর্মকান্ড হতে বিরত থাকতে প্রতিবেশী জিয়াউর রহমানকে সর্তক করে দেন।
রবিবার দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রী মাফিয়া বেগম গণমাধ্যমের নিকট নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, গত এক মাসেরও অধিক সময় আমি ও আমার শিশু সন্তান মূলত অপরাধীর ন্যায় বাঁশের বেড়ার কারনে গৃহবন্দিত্ব জীবনযাপন করেছি, গ্রামের প্রবীণরা জিয়াউর রহমানকে বাঁশের বেষ্টনী সড়াতে বারবার অনুরোধ করলেও উনার বিবেক টলেনি,ইউএনও মহোদয় এগিয়ে আসায় আমরা গৃহবন্দিত্ব হতে অবশেষে মুক্তি পেলাম।