যে শর্তে খুলে দেয়া হলো মসজিদ
বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে সুস্থদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে দেশের সব মসজিদ। আগামীকাল জোহর থেকে মসজিদগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
জোহর থেকে মসজিদে ওয়াক্তিয়া নামাজসহ তারাবি ও জুমার নামাজ পড়া যাবে। তবে মসজিদে আসার পূর্বে সাবান বা হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে উভয় হাত ধৌত করবে। মসজিদে আসার ক্ষেত্রে বয়স নির্ধারণ করা হয়নি। তবে অসুস্থদের মসজিদে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
মুসল্লিদের দু’জনের মাঝে অন্তত তিন ফুট পরিমাণ জায়গা ফাঁক রেখে দাঁড়াতে হবে। সকল মসজিদের ফ্লোর জীবাণুনাশক দিয়ে প্রতি নামাজের পর পর ধৌত করতে হবে। মসজিদের কার্পেট সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রত্যেক মুসল্লি নিজ নিজ পরিষ্কার জায়নামাজ সাথে নিয়ে আসতে হবে। মসজিদে দূরত্ব বজায় রেখে ৫জন মসজিদে ইতিকাফ করতে পারবে।
মসজিদের ইমাম ও খতিবরা বয়ানে মুসল্লিদের সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানাবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি রমজান মাসে দেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। দেশের শীর্ষ আলেম উলামারা মুসল্লিদের মসজিদে নামাজ পড়ে দেয়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানান। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ধর্ম মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, আগামীকাল জোহরের নামাজের পর থেকে সারাদেশের মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়ার সুযোগ পাবেন। তবে মসজিদে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী থাকবে। এসব শর্তাবলির কথা সারাদেশের মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে জানিয়ে দেয়া হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং মন্ত্রনালয়ের সচিবরা। দেশের শীর্ষ আলেমদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আকবর কমপ্লেক্সের মুহতামিম মুফতি দেলোয়ার হোসাইন, ফরিবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, জামিয়া আজমিয়া দারুল উলুম বনশ্রীর মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, জামিয়া ইদারাতুল উলুম আফতার নগরের মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস মুফতি মোহাম্মদ আলী, ফরিদাবাদের মুহাদ্দিস মাওলানা নুরুল আমিন।