হজে যেতে না পারলে টাকা ফেরত: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
চলতি বছর হজ গমনেচ্ছু হজযাত্রীদের নির্ভয়ে ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বা অন্য কোনো কারণে যদি কোনো আগ্রহী ব্যক্তি এ বছর হজে যেতে না পারেন, তাহলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যেকের টাকা ফেরত দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত দিনক্ষণেই জিলহজ মাসের ৯ তারিখে মক্কায় পবিত্র হজ পালিত হবে। এক্ষেত্রে দিনক্ষণ বা সময়ের পরিবর্তন হবে না। যথাসময়ে নিবন্ধন না করলে কেউ কেউ চলতি বছর হজ পালন না-ও করতে পারেন।
রবিবার (৮ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হজ-২০২০ নিবন্ধন কার্যক্রম ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পর্কিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, ২ মার্চ থেকে হজ নিবন্ধন শুরু হলেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। আজ দুপুর পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭২৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মাত্র ৮৪৮ জন নিবন্ধন করেছেন। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন পবিত্র হজে যাবেন। সে হিসেবে নিবন্ধন হতাশাজনক।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভায় এ বছরের হজ প্যাকেজ অনুমোদিত হয়েছে। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট তিনটি প্যাকেজ ঘোষিত হয়েছে। খরচ প্যাকেজ-১ এ সর্বমোট চার লাখ ২৫ হাজার, প্যাকেজ-২ এ তিন লাখ ৬০ হাজার ও প্যাকেজ-৩ এ তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা। বেসরকারি প্যাকেজে তিন লাখ ৫৮ হাজার টাকা খরচ হবে।
নিবন্ধন করার পর করোনাভাইরাসের কারণে হজে যেতে না পারলে নিবন্ধনকারীর টাকা ফেরত দেয়া হবে কি-না কিংবা জটিলতায় পড়তে হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে হজে যেতে না পারলে যখন টাকা ফেরত চাইবেন তখনই টাকা ফেরত দেয়া হবে। হজযাত্রী চাইলে টাকা উত্তোলন না করে পরের বছর কিংবা তারও পরের বছরও হজে যেতে পারবেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, নিবন্ধনের পর সৌদি আরবে মোয়াল্লিম নির্ধারণ, মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য সৌদি আরবে অর্থ পাঠানোর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। হজে যাওয়ার আগে একজন হজযাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা গ্রহণ, হজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ, বিমানের টিকিট সংগ্রহ ও ভিসা প্রসেসসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে না পারলে একজন হজযাত্রীর হজে গমন সম্ভব নয়।
নিবন্ধন করলে হজযাত্রীর আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তছলিমও ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর কথায় সায় দেন। তিনি বলেন, হজে যেতে না পারলে হজযাত্রীদের টাকা ফেরত দেয়া হবে।