অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা: মেয়র আরিফের অপসারণ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ফাইল যাওয়ার কথা রয়েছে আজ। সিটি কর্পোরেশনের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সিসিক মেয়রের নানা কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ পরিষদের একাধিক কাউন্সিলরবৃন্দ। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ কাউন্সিলরবৃন্দের একটি বড় অংশ গোপন বৈঠকও করেছেন। বৈঠক থেকে সিদ্ধান্তক্রমে এখন সিসিক মেয়রের অপসারণ দাবিতে একাট্টা অধিকাংশ কাউন্সিলরবৃন্দ। অপসারণপত্রে স্বাক্ষরও করেছেন তাঁরা।
কাউন্সিলরদের পক্ষে সিসিকের ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বকস লিপন স্বাক্ষরিত অভিযোগের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও মেয়রের একান্ত সচিব বরাবরেও প্রেরণ করার কথা রয়েছে।
অভিযোগে স্বাক্ষরকারী সিসিকের কাউন্সিলররা জানান, পরিষদকে না জানিয়ে তেঁতলী ইউনিয়নের বানেশ্বপুর মৌজায় ২৭ কেদার (৪১০ শতক) ২০ শতক ভূমি ২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা অধিগ্রহণ ব্যয় দেখিয়েছেন মেয়র। কিন্তু তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই টাকায় ৩ ভাগের একভাগ টাকা দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এছাড়া ৫০ জনের স্থলে আড়াইশ’ পরিচ্ছন্ন কর্মীর বেতন তুলে আত্মসাত করা হচ্ছে।
এসব অভিযোগের বাইরেও মেয়র নিজের মেয়েকে সিসিকের একটি প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে রেখেছেন মোটা অংকের বিনিময়ে। আর ডে লেবারদের এপিএস, পিএস করে বিদেশে পাঠিয়েছেন, বলেও অভিযোগ করেন তারা।