ধানের শীষে ভোট দেয়ায় মারধর

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কার্জন হল কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট দেয়ায় এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা সোয়া ১০টার দিকে এমন ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, ওই ব্যক্তি ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর তিনি কোন প্রতীকে ভোট দিয়েছেন জানতে চান বাইরে থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। তখন তিনি ধানের শীষে ভোট দেয়ার কথা বলতেই এই মারধর শুরু হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে মারতে মারতে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের দিকে নিয়ে যান। এসময় ওই ভোটারের কাছে তারা জানতে চান, মারধরের কোনো ছবি তোলা হয়েছে কিনা। তারা তখন আরও মারমুখী হয়ে ওঠেন।

সকাল আটটায় ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। সব কেন্দ্রের বাইরেই অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী।

কার্জন হলে সকাল ১০টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখার নেতা-কর্মীরা কৃত্রিম লাইন করে দাঁড়িয়ে আছেন। একপর্যায়ে সেখানে দায়িত্বরত একজন ম্যাজিস্ট্রেট ভোটার ছাড়া অন্যদের লাইন থেকে সরে যেতে বললে প্রায় সবাই সরে যান।

জানতে চাইলে কার্জন হল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শামসুল আলম বলেন, তিনি বিষয়টি দেখছেন।

এদিকে কা দক্ষিণ সিটির শতাধিক ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের মেয়রপ্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছে দক্ষিণে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মনিটরিং সেল।

মেয়রপ্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের বাসাতেই স্থাপন করা হয়েছে এই মনিটরিং সেল।

দক্ষিণে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের গোপীবাগের আর কে মিশন রোডের বাসায় মনিটরিং সেলের সদস্য আবদুস সালাম আজাদ বলেন, আমাদের কাছে খবর আসছে, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমাদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। বেশকিছু কেন্দ্রে এজেন্টরা প্রবেশ করতে পারলেও পরে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এসে তাদের বের করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এজেন্টদের বের করে দেয়ার কথা আমরা নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এখন পর্যন্ত।

এক প্রশ্নে তিনি জানান, সেন্ট জোসেফ স্কুল, ঢাকা কলেজ, টিচারস ট্রেনিং কলেজ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল, আইয়ুব আলী কলোনি, শিশু একাডেমি, লালবাগ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিটি, কবি নজরুল কলেজ, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ, সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টার, গেন্ডারিয়া প্রাইমারি স্কুল, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, পল্টন কমিউনিটি সেন্টার, মুখ-বধির স্কুল, মেরাদিয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুল, আবদুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয়সহ শতাধিক কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তারা পেয়েছেন। সূত্র- যুগান্তর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ