রোগীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই, তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি

গত দেড় বছর আগে অপারেশনের সময় মনিরা খাতুনের পেটে রাখা কাঁচিটি শনিবার অপারেশন করে বের করা হয়েছে। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ অপারেশন করা হয়।
এ ঘটনায় রোববার তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর রহমানের নির্দেশে সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসানকে সভাপতি করে হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (গাইনি) ডা. কানিজ ফাতেমা ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুজ্জামানসহ ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মনিরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি এমএ জলিল বলেন, রোগীর অভিভাবকরা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে বিস্তারিত জানান। এসপি সাহেবের নির্দেশে রোগী ও তার অভিভাবকদের নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে রোগী মনিরাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার অপারেশন করে পেট থেকে কাঁচিটি বের করা হয়।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন বলেন, এ ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে এ অনভিপ্রেত ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান বলেন, রোগীর পরিবারটি গরিব ও অসহায়। মেয়েটি দেড় বছর ধরে এ যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। বিষয়টি জানার পর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখেছি। নিয়মিত রোগীর খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। রোগী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ