চাচার এইচএসসি পরীক্ষা দিতে এসে ভাতিজা গ্রেফতার
নিয়ামতপুরে চাচার হয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (এইচএসসি বিএম) ২য় বর্ষে পরীক্ষা দিতে এসে শ্রীঘরে গেলেন এক ভুয়া পরীক্ষার্থী। ঘটিনাটি ঘটে রোববার টিকরামপুর কলেজ কেন্দ্রের নিয়ামতপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে।
এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনজুরুল আলম ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের বিনাশ্রম করাদণ্ড ও একশ টাকা জরিমানা করেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া পরীক্ষার্থী শ্যামপদ বর্মণ (২২) উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের গাহৈল গ্রামের ভবেশ বর্মণের ছেলে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় টিকরামপুর বিএম কলেজ থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) ২য় বর্ষে পরীক্ষায় কার্তিক বর্মণের পরিবর্তে পরীক্ষায় অংশ নেন তার ভাতিজা শ্যামপদ বর্মণ। দায়িত্বরত অবস্থায় ওই পরীক্ষার্থী শ্যামপদকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
প্রবেশপত্র যাচাই-বাছাইসহ শ্যামপদকে জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া পরীক্ষার্থীর কথা স্বীকার করে তিনি জানান, কাকা কার্তিক বর্মণের বদলে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তিনি। পরীক্ষার প্রবেশপত্র জাল করার কথাও স্বীকার করেন ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০-এর ৩ (খ) ধারায় ভুয়া পরীক্ষার্থী শ্যামপদকে এক বছরের বিনাশ্রম করাদণ্ড ও একশ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।
এছাড়াও আদালতের মাধ্যমে প্রকৃত পরীক্ষার্থী কার্তিক বর্মণকেও পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
কেন্দ্র সচিব টিকারামপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম শফি কামাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ ঘটনায় আমি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকব।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনজুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।