ইউপি নির্বাচনে আপন চাচা-ভাতিজার ভোটযুদ্ধ

তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রামে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে আপন চাচার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভাতিজা। আর এ নিয়ে ওই ইউনিয়নজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
চলতি মাসের ২৮ নভেম্বর সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আটিগ্রাম ইউনিয়নে বর্তমান

চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সরকার (নৌকা প্রতীক) ও তার আপন বড় ভাইয়ের ছেলে মো. গাজী সালাহউদ্দীন টিটু (মোটরসাইকেল প্রতীক) প্রার্থী হয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। তাদের এই চাচা-ভাতিজার ভোটযুদ্ধে ওই ইউনিয়নের সাবেক আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী নারগিস আক্তার বাচ্চা (আনারস প্রতীক) নিয়ে লড়াই করছেন।

প্রার্থী গাজী সালাহউদ্দীন টিটু বলেন, আমার বাবা এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি মারা যান। বাবা যখন মারা যান, তখন আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদালয়ের ছাত্র ছিলাম; বিধায় আমার চাচা বর্তমানে (নৌকা) প্রতীকের মো. নূরে আলম সরকার উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আমার লেখাপড়া শেষ হলে আমি গ্রামে চলে আসি। এর পর থেকে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি অনেক দিন ধরে।

প্রতিবার নির্বাচন এলেই চাচা বলেন, এবারই তার শেষ; কিন্তু তিনি কোনোভাবেই আমাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছেন না। এই বছর গণমানুষের অনুরোধে আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। তবে নৌকা প্রতীকের অনুসারীরা চাপ প্রয়োগ করছে। তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ আমার বাবার ভালো কাজের জন্য এবার আমাকে সাধারণ জনগণ বিজয়ী করবে বলে আমার দৃঢবিশ্বাস।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নূরে আলম সরকার বলেন, নির্বাচন করার অধিকার সবারই আছে। জনগণ যাকে ভোট দেবেন তিনি হবেন চেয়ারম্যান। তবে ভাতিজাকে চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করেন তিনি।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৩৭ জন চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় জাগীর ইউনিয়ন পরিষদে জাকির হোসেন ও গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আফসার উদ্দীন সরকার আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। ১০ ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদে ৩৩৩ পুরুষ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০৭ নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ