বিদেশ থেকে মোবাইল আনতে মানতে হবে যেসব বিধান
দেশে ফেরার সময় সবাই কমবেশি বিদেশ থেকে কিছু না কিছু নিয়ে আসেন। কেউবা নিজের জন্য কেউবা আবার পরিবারের জন্য মোবাইল-ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস নিয়ে আসেন। তবে আইন মেনে পণ্য না আনলে অনেকক্ষেত্রেই বিমানবন্দরে প্রবাসীদের এসব মালামাল জব্দ করা হয়।
বিদেশ থেকে জিনিস আনার ক্ষেত্রে যাত্রীদের ‘প্যাসেঞ্জার ব্যাগেজ রুলস-২০১৬’ মানতে হবে। এতে বিভিন্ন পণ্যের বহন করার নিয়ম উল্লেখ করা আছে।
মোবাইল ফোন
ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী, একজন যাত্রী নিজের ব্যবহৃতসহ সর্বমোট ২টি মোবাইল ফোন শুল্কমুক্ত হিসেবে আনতে পারবেন। এছাড়াও শুল্ক-করাদি পরিশোধ করে মোবাইল আনতে পারবেন সর্বোচ্চ ৮টি। সেক্ষেত্রে তাকে ফোনের ক্রয়মূল্যের ওপর প্রায় ৫৫ দশমিক ৬০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। তবে ৮টির বেশি মোবাইল আনলে কাস্টমস তা আটক করবে।
মোবাইল আটক করা হলে যাত্রীকে সফটওয়্যার প্রিন্টেড আটক রশিদ দেওয়া হবে। আটক মোবাইলগুলো অ্যাডজুডিকেশন প্রক্রিয়ায় শুল্ক-করাদি এবং অর্থদণ্ড পরিশোধ করে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স রেগুলেটরি কমিশন-বিটিআরসির দপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে ফেরত পেতে পারেন।
উল্লেখ্য, জরিমানার অংক সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত না থাকলেও এটি মোবাইল ফোনের ক্রয়মূল্যের সর্বোচ্চ ১০ গুণ পর্যন্ত হতে পারে।
ল্যাপটপ
ব্যাগেজ রুল অনুযায়ী, একজন যাত্রী শুল্কমুক্ত হিসেবে একটি ল্যাপটপ আনতে পারবেন। ২টি আনতে তাকে ল্যাপটপের ক্রয়মূল্যের ১৬ শতাংশ শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে। এর বেশি আনলে কাস্টমস তা আটক করবে। তবে জরিমানা ও কর দিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় এটি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।