আরেকটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের অনুমোদন

 

দেশে নতুন আরেকটি এয়ারলাইন্স চলাচলের অনুমোদন পেল। বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (অনাপত্তি সনদ-এনওসি) পেল নতুন বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা ‘এয়ার অ্যাস্ট্রা’।

নতুন এই বেসরকারি এয়ারলাইন্স ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ।

বৃহস্পতিবার রাতে অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইমরান আসিফ বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর বেবিচকের কাছে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্তি এবং ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। বৃহস্পতিবার তারা

আমাদের এনওসি দিয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেটের (এওসি) জন্য আবেদন করা হবে।সব অনুমোদন ও প্রক্রিয়া শেষ হলে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান এয়ার অ্যাস্ট্রার সিইও।

এয়ার অ্যাস্ট্রার আগে এনওসি পেয়েছে আরও একটি এয়ারলাইন্স। ‘ফ্লাই ঢাকা’ নামের বেসরকারি এয়ারলাইন্সটির মূল মালিকানায় রয়েছেন সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী, চট্টগ্রাম-৫ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিনিয়োগ রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটিতে।

নিয়ম অনুযায়ী এয়ারলাইন্সগুলো অন্তত এক বছর অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পর আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইটের অনুমতি পায়।

ইমরান আসিফ বলেন, প্রাথমিকভাবে অভ্যন্তরীণ রুটে চারটি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের এয়ারক্রাফট নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। আমরা এয়ারক্রাফটগুলো কেনার বিষয়ে আলোচনা করছিলাম, তবে এনওসি না পাওয়ায় কিনতে পারছিলাম না। এনওসি পাওয়ায় এখন আমরা কেনার প্রক্রিয়ার দিকে এগোবো।

অনেকটা দ্রুত সময়ের মধ্যে এনওসি দেয়ায় বেবিচককে ধন্যবাদ জানান তিনি।

জানা গেছে, হারুন অর রশিদ নামের একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এয়ার অ্যাস্ট্রার অর্থায়ন করছেন। যিনি জাপানে বসবাস করেন।

গত ২৫ বছরে দেশে ১০টি বেসরকারি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এছাড়া বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এরমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, অ্যারো বেঙ্গল, এয়ার পারাবত,

রয়্যাল বেঙ্গল, এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইনস, বেস্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার ও রিজেন্ট এয়ার। সবশেষ করোনার মধ্যে গত বছরের মার্চ থেকে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে রিজেন্ট এয়ার। বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে জিএমজি, রিজেন্ট ও ইউনাইটেড আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও চালাত।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ