প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা গায়েব, আটক ১০

 

প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে কর্ণফুলী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল আহমেদসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তবে এই প্রতিষ্ঠানের মালিক জসিম পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অন্তত ১০০ কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ পেয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৪ এর মিরপুরের কার্যালয়ে সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে হাজির হন শতাধিত গ্রাহক। তারা সবাই ডিপিএস করেছিলেন কর্নফুলি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে। তাদের মতো আরও অনেক গ্রাহক এখন লাভ তো দূরের কথা, আসল টাকাটাই পাচ্ছেন না।

এ সমিতির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। র‌্যাব বলছে, সমিতিটি অবৈধভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এক লাখ টাকা রাখলে পাওয়া যাবে দুই হাজার টাকা। এমন লোভ দেখিয়ে অন্তত ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মল হক বলেছেন, জসিম উদ্দিন একটি অলৌকিক ও ভৌতিক চরিত্র। তাকে গ্রাহকরা কখনও দেখে নি। তার প্রতিষ্ঠান কিছু হতদরিদ্র মানুষ যেমন রিকশাওয়ালা, গার্মেন্টস কর্মীদের কে প্রলুব্ধ করেছে। ১ লক্ষ টাকা জমা করলে, প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা পাবেন এ কথায় প্রলুব্ধ করা হয়।

 

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সমিতিটি মূলত নিম্নবিত্ত মানুষদের লক্ষ্য করত। এটি সমবায় অধিদপ্তর থেকে ২০০৬ সালে নিবন্ধন পায়। এরপর অধিদপ্তর থেকে অডিট হওয়ার পরও কেন এর অনিয়ম ধরা যায়নি সেটিও খতিয়ে দেখবে র‌্যাব।

জসিম উদ্দিনের বর্তমান অবস্থান নিয়ে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেছেন, তার সবশেষ অবস্থান গ্রীন রোডে ছিল। সুতরাং সে বাংলাদেশে আছে এটা বলা যেতে পারে। এখন আমরা চেষ্টা করব সে যেন পালাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে।

র‌্যাব বলছে, কর্নফুলি মাল্টিপারপাসের মালিক জসিম অন্তত একশ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। রাজধানীসহ বহু জায়গায় তার একাধিক সম্পত্তি  রয়েছে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ