বিমানের কার্গো হোল থেকে ১২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার

 

 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাইফেরত বাংলাদেশ বিমান থেকে ১২ কেজি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। বিমানের কার্গো হোল থেকে বারগুলো উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক

বাজারমূল্য সাড়ে ৮ কোটি টাকা।
কাস্টমস সূত্র জানায়, চোরাচালানের সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবস্থান নেয় কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগ। রাত ৯টার দিকে

শাহজালাল বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৪১৪৮ ফ্লাইটটি অবতরণ করে। এরপরই তল্লাশি চালান কাস্টমস গোয়েন্দারা। এ সময় কার্গো হোলে (যেখানে মালামাল রাখা হয়) স্কচটেপে মোড়ানো তিনটি প্যাকেটে ১০৪টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুর রউফ বলেন, যাত্রীরা বিদেশ থেকে বৈধভাবে যে স্বর্ণ আনেন, এর ৯৫ ভাগই চোরাকারবারিদের। তারা কৌশলে কিছু যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ পাঠাচ্ছে। বিনিময়ে

ওইসব যাত্রী চোরাকারবারিদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকে। দেশে পৌঁছার পর স্বর্ণ আবার চোরাকারবারিদের কাছে চলে যায়। তিনি বলেন, শিডিউলবিহীন ফ্লাইটগুলোয় চোরাচালানের ঘটনা বেশি ঘটে।
এক্ষেত্রে প্লেনের কোনো কর্মচারী জড়িত কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুর রউফ বলেন, আমরা বিমান

কর্তৃপক্ষের কাছে কর্মচারীদের তথ্য চেয়েছি। তথ্য পেলে আমরা পুলিশকে হস্তান্তর করব। আমরা বিমানটি জব্দ করেছিলাম। সাধারণত যেসব বাহনে চোরাই মাল উদ্ধার হয়, সেই বাহন ও মালামাল দুটাই জব্দ হয়। কিন্তু বিমানটির একটু পরই জেদ্দায় রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল।

আর আমাদের জব্দের কারণে প্রায় দুই ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়। এছাড়া বিমানে ৩০০ জনের ফ্লাইট ছিল। এ কারণে আমরা বিমানটিকে অন্তর্বর্তীকালীনের জন্য জামিন দিয়েছি।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হিসাবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে প্রচুর গোল্ড (স্বর্ণ) ব্যবহার হয়।

সারা পৃথিবীতে যে পরিমাণ স্বর্ণ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হয়, এর ৮০ শতাংশই ব্যবহার হয় ভারতে। তিনি বলেন, আমরা এত চোরাচালান ধরি আর এতে কোটি টাকা তাদের (চোরাকারবারি) লস হয়। তবুও তারা এই কাজ করে যাচ্ছে। তাহলে বলা যায়, ধরা পরার পরও তাদের লাভ আছে।

আবদুর রউফ বলেন, আমাদের দেশের জুয়েলারি মালিক সমিতি স্বর্ণ আমদানিতে ভ্যাট, ট্যাক্স কমাতে বলে। তাহলে তারা আমদানি করবে। কিন্তু আমরা এতে যুক্তি দেখি না।

যেখানে ওষুধ আমদানিতে ১৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়, রেস্টুরেন্টে গেলে ভ্যাট দিতে হয়, সেখানে স্বর্ণ আমদানিতে

  • কেন ভ্যাট কমাব? তিনি বলেন, আমাদের পাশের দেশে এমন গায়ক আছেন যিনি কেজি পরিমাণ স্বর্ণ নিজের শরীরে ব্যবহার করেন। কিন্তু তারা তাদের ট্যাক্স, ভ্যাটের পরিমাণ কমায় না। তাদের রুলস আরও অনেক কঠিন। পৃথিবীর অনেক দেশে আমাদের তুলনায় ভ্যাট অনেক বেশি। এটা আরও বাড়াতে হবে। কমানোর সুযোগ নেই।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ