মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়ছে

 

ভারতে অতিবৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশে কতিপয় ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে গত দুই সপ্তাহে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

 

দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি দল টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনে করেন।

ওই সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বন্দরের পণ্য উঠা-নামাঘাট, ইমিগ্রেশন ঘাট,ওয়ার হাউসসহ আমদানি রপ্তানিপণ্যের গুদাম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে টেকনাফ স্থলবন্দরে ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরীর সভাপত্বিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান। সভায় বক্তব্যে রাখেন টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপাধিনায়ক লে. এম. মুহতাসিম বিল্লাহ (সাকিল), টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, টেকনাফ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তা আব্দুন নুর, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল আমিন, ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি খলিলুর রহমান, আমদানিকারক ও স্থল বন্দরের নিয়োজিত সকল দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ওই সভায় সাংবাদিকদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, দেশে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানিতে যে শুল্ক ছিল তা প্রত্যাহার করা নেওয়া হয়েছে। বিনা শুল্কে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পণ্যবোঝাই ট্রাক ভাড়া বৃদ্ধি, সোনালী ব্যাংকের বুথ স্থাপন, বিশ্রামগারের ব্যবস্থাসহ বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ৮ হাজার ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে মিয়ানমার থেকে। এসব পেঁয়াজ ১০ থেকে ১২ জন ব্যবসায়ী আমদানি করেছেন। এর আগে মিয়ানমার থেকে সেপ্টেম্বরে ২ হাজার ৯৮৮ মেট্রিক টন, আগস্ট মাসে ৭৬৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।

কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, মূলত বাংলাদেশ ভারতের পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। সেখানে দাম বেড়ে গেলে এখানকার ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন। তবে মাঝেমধ্যে মিয়ানমার থেকে কিছু কিছু পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। যেকোনো সময় মিয়ানমারেও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুর নুর বলেন, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হওয়ার পাশাপাশি দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে স্থলবন্দর থেকে সারা দিন এ পণ্য ট্রাকভর্তি করে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ