ছেলের মরদেহ বাবাকে দেখিয়ে দৌড়ে পালাল দুই বন্ধু

 


কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় পরিত্যক্ত রেল লাইনের উপর পড়ে থাকা ছেলের মরদেহ বাবাকে দেখিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালাল নিহতের দুই বন্ধু বাবুল ও ফাইজু। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

পরে খবর পেয়ে দুই পা ভাঙ্গা ও মাথার পিছনে আঘাত প্রাপ্ত রিমন (২২) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ভৈরব রেলওয়ে থানার পুলিশ।
ঘটনাটি ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বলে ধারণা করা হলেও পরবর্তীতে নিহতের বাবার ইলিয়াস মিয়ার দাবী তার দুই বন্ধু-ই তাকে বাড়ী থেকে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ রেল লাইনের পাশে ফেলে যায়।
পরিবারের দাবী, রেলওয়ে থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এলেও মামলা নিতে গড়ি মসি করছে। ঘটনার সূত্রপাত কুলিয়ার চর থেকে তাই মামলা নেওয়ার দায়িত্ব কুলিয়ারচর থানার।
নিহতের পরিবার জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে ফাইজু ও বাবুল পূজা দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে আনে। পরে দুই বন্ধু বাড়ি ফিরে গেলেও রিমন ফেরনি। দুই বন্ধুর কাছে রিমনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানায় রিমন রেল লাইনে বসে ছিল এ সময় ছিনতাইকারীদের তাড়া খেয়ে সে কোথায় গেছে তারা আর তাকে খুঁজে পাইনি।

 

পরের দিন সকালে রিমনের বাবা ওই দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে কোথায় ঘটনা ঘটেছে তা খুঁজতে আসে। এ সময় দুপুর ১টার দিকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে রেলওয়ে স্টেশনের আউটার সিগন্যাল এলাকায় রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা নিহত রিমনের মরদেহ বাবাকে দেখিয়ে দেয়।
ছেলের মরদেহ দেখে বাবা অজ্ঞান হয়ে গেলে এই সুযোগে নিহতের দুই বন্ধু বাবলু ও ফাইজু দৌড়ে পালায়। পরে রেলওয়ে পুলিশ কে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত রিমনের বাবা ইলিয়াস মিয়া বলেন, আমার ছেলে কে বাড়ি থেকে ডেকে এনে তার দুই বন্ধু হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস আহম্মদ বিশ্বাস বলেন, যেহেতু ঘটনার সূত্রপাত কুলিয়ারচার তাই মামলাটির আইনি পদক্ষেপ কুলিয়ারচর থানাকেই নিতে হবে।
অন্যদিকে, কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম মস্তোফা বলেন, যেহেতু রেললাইনের পাশ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাই মামলা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ