নারায়ণগঞ্জে ফুডস কারখানার আগুন
১৮ ঘণ্টার বেশি সময় পার হয়ে গেলেও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানার আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। অনেক শ্রমিকের এখনও খোঁজ না মেলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া আগুনে আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশত মানুষ।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার ভোরের দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু সকালে ভেতরে আবার আগুন বেড়ে যায়। আমরা নেভানোর চেষ্টা করছি।’
সজীব গ্রুপের এ খারখানার ওই অংশে সেমাই কারখানা ও গুদাম এবং কার্টনের গুদাম রয়েছে। এছাড়া নিচের ফ্লোরগুলোতে সেজান জুসসহ কোমল পানীয় এবকং খাদ্যপণ্য তৈরি হত বলে কর্মীরা জানিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, “আগুনে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে কারখানার ভেতরে অনেকে আটকা ছিলেন যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তারা বের হতে পেরেছেন কিনা বা তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনি বলা যাচ্ছে না। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।”
রূপগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত বলেন, “কারখানার শ্রমিক নিখোঁজ থাকার তথ্য আসছে। তবে কতজন নিখোঁজ, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।”
আগুন কীভাবে লাগল- সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেননি। কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গ্যাস লাইন লিকেজ কিংবা বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।’