প্রথম লকডাউনে বদলে গেছে ঢাকা
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে বদলে গেছে রাজধানী ঢাকার চিত্র। অন্যান্য দিনের মতো নেই জনসমাগম। বিভিন্ন সিগন্যালে চেকপোস্টে বসিয়েছে পুলিশ ও র্যাব। পাশাপাশি টহল দিতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীর সদস্যদের।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২, সিটিকলেজ, শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আসাদগেট, মোহাম্মাদপুর, বসিলা এলাকায় ঘুরে এমনটা দৃশ্য দেখা গেছে।
সকাল থেকে হালকা ও ভারী বৃষ্টি হওয়ায় সাধারণ মানুষেদের তেমন বের হতে দেখা যায়নি। যারা বের হয়েছেন তারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন। আর কেউ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে, খাদ্য সরবরাহ ও ক্রয় করার জন্য বের হয়েছেন। তবে পুলিশের চেকপোস্টে তাদের জবাবদিহি করে গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আর যারা একদমই অপ্রয়োজনে বের হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই জরিমানার মুখে পড়েছেন।
ফার্মগেট মোড়ে র্যাব হেড কোয়াটারসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করেছি আমরা। তো দেখেছি যে জনসাধারণ অনেক কম বের হয়েছে। আর বৃষ্টি থাকার কারণে রাস্তা ফাঁকা দেখা গেছে। আমরা যতো জনকে জিজ্ঞেস করেছি তারা প্রয়োজনেই বের হয়েছেন। এবং সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলাচল করতে দেখা গেছে। আর যারা বিনা প্রয়োজনে বের হয়েছেন তাদের আমরা বুঝানোর চেষ্টা করেছি যেনো আর বের না হন। একই সাথে সবাই যেনো সরকারের নির্দেশনা মেনে চলেন সে ব্যপারে সতর্ক করা হয়েছে। এখানে এক জন বিনা প্রয়োজনে গাড়ি নয়ে বের হয়েছিলেন তাকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছি।
অন্যান্য এলাকার চেয়ে শাহবাগে সাধারণ মানুষদের উপস্থিতি কিছুটা বেশি দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের বেশিরভাগই হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজন।
সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে পুলিশ চেকপোস্টে দীপ্ত নামের এক শিক্ষার্থী বাসা থেকে বের হয়েছিলেন, তার চাচার বাসায় যাওয়ার জন্য। তাকে কিছুক্ষণ পুলিশের গাড়িতে আটক করে রাখা হয়। দীপ্ত বলেন, ‘আমার চাচ্চু ডেকেছিল ওষধ কিনে দেওয়ার জন্য। এজন্য বের হয়েছি।’ কিন্তু তার কাছ কোনো প্রেস্কিপশন বা প্রমাণপত্র কিছু ছিল না।