নিউইয়র্কে করোনায় এক দিনে বাবা-ছেলের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের করোনা পরিস্থিতি আবার নাজুক হয়ে উঠেছে। নিউইয়র্কে নতুন করে সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছেন। নিউইয়র্কে করোনায় তিন ঘণ্টার ব্যবধানে প্রবাসী বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
মারা যাওয়া প্রবাসী বাবা-ছেলে হলেন ইঞ্জিনিয়ার খাইরুজ্জামান ও তাঁর ছেলে আবুল বাশার। ১৯ ডিসেম্বর সকালে নিউইয়র্কে তাঁরা মারা যান। খাইরুজ্জামান ও আবুল বাশারের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। তাঁরা নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করতেন। বাবা-ছেলের মৃত্যুতে নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৩ ডিসেম্বর করোনায় মারা যান লং আইল্যান্ডের নর্থ শোর এলএইজের প্যাথোলোজিক্যাল বিভাগের ভাইস চেয়ারপার্সন ডা. তৌফিকুল ইসলাম (৬১)। তিনি স্ত্রী ও সন্তান রেখে গেছেন। তৌফিকুল নিউইয়র্ক কমিউনিটির প্রিয় মুখ ছিলেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের মধ্যে তিনি উচ্চপদে কাজ করতেন।
করোনায় সংক্রমিত হয়ে শতাধিক প্রবাসী নিউইয়র্ক নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অনেকে ঘরে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ৯ হাজার ৯১৯ জনের নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার কথা জানানো হয় গতকাল শনিবার। সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ বলে অঙ্গরাজ্যের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
নিউইয়র্কের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ২০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকালই নতুন করে ১২৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১ হাজার ৮৮ জন আইসিইউ ইউনিটে আছেন। তাঁদের মধ্যে ৬১০ জনের অবস্থা সংকটজনক পর্যায়ে বলে অঙ্গরাজ্য গভর্নর জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কের মেয়র ডি ব্লাজিও জানিয়েছেন, গত সাত দিনে সংক্রমণের গড় হার ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ। করোনার সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তি বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও অঙ্গরাজ্য গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেছেন, নিউইয়র্ককে দ্বিতীয় দফায়ে লকডাউন করার চিন্তা এখনো করা হচ্ছে না।