বড়লেখায় ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে নির্বাচনের প্রচারণা শেষে নৌকার মিছিল করানোয় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনের ওপর হামলা করে ছুরিকাঘাত করা হয়।
বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শিমুল আহমদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ছাত্রলীগের সভাপতির ওপর হামলার খবরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিয়ালা এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়ো হন। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দফায় দফায় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়।
এ সময় বড়লেখা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ও বড়লেখা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামাদ আহমদসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় বড়লেখা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স হতে বড়লেখা সরকারি কলেজ পর্যন্ত এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
১৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স হতে বড়লেখা সরকারি কলেজ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।’