জুড়ীতে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান রুহুল ইসলাম বলেছেন- ‘বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনেকে ঝরে পড়তে পারে, আবার অনেকেই হবে উল্লেখযোগ্য কেউ। সফলতাটা জীবনের একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটার কোন শেষ নেই। একটি দুইটি জিপিএ-৫ কিংবা বড় কিছু অর্জনের মধ্য দিয়ে শিক্ষা জীবন শেষ করে উচ্চ শিক্ষিত হওয়া যায়। এই শিক্ষিত হয়ে যাওয়া নতুবা একটা চাকরী অর্জন করাটা সফলতা নয়। এটা একটা পর্যায় মাত্র। চাকরী পাওয়া মানে সফলতার পরীক্ষা সেখান থেকেই আবার শুরু হয়, অনেক ধাপ পেরুতে হয়। কোথাও থেমে থাকার কোন সুযোগ নেই। আমাদের ক্ষেত্র খুবই ছোট, যা সবার জন্য প্রস্তুত থাকেনা। যে কারণে প্রতিযোগিতা করে সেই ক্ষেত্র পর্যন্ত যেতে হবে’। তিনি শনিবার দুপুরে জুড়ী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
জুড়ীতে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৩৩ জন শিক্ষার্থী ও ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট স্কাউটস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ৪ শিক্ষার্থীকে ফয়েজ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, জুড়ী এ সংবর্ধনার প্রদানের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি পারিজাত চদ্রাননা অর্চি’র সভাপতিত্বে এবং শাহনাজ পারভীন মুন্নী ও আব্দুল্লাহ আল মাহির যৌথ পরিচালনায় অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পশ্চিম জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত দাস, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা কুলেশ চন্দ্র চন্দ মন্টু, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মাহবুবুল ইসলাম কাজল, জায়ফরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুুল কাদির দারা, জুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিতাংশু শেখর দাস, জায়ফরনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতীশ চন্দ্র দাস, জুড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরে আলম লাল, সাংবাদিক বদরুল ইসলাম, দিগলবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণয় রঞ্জন দাস। বক্তব্য রাখেন সংবর্ধিত আবিদা উলফাৎ আরা নোমা, নিপা আক্তার, মুস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিশু রানী দে, মেডিকেল কলেজ অ্যাম্বাস্যডর পল্লব দাশ, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক স্বাগত মালাকার, সংগীত বিষয়ক সম্পাদক বনশ্রী দাশ প্রমা, কার্যনির্বাহী সদস্য তামিম জামান।
সংবর্ধিত কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়।