বড়লেখায় স্বামী পরিত্যক্তাকে ধর্ষণ
বড়লেখায় স্বামী পরিত্যক্তা তরুণীকে (২০) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করছিল ৪ সন্তানের জনক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ফয়েজ আহমদ (২৭)। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ধর্ষিতা তরুণীর মামলায় শনিবার বিকেলে পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। ফয়েজ জুড়ী উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে। ভিকটিম তরুণীকে পুলিশ ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
ভিকটিম তরুণীর মামলা সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখার বর্নি গ্রামে নানাবাড়িতে স্বামী পরিত্যক্তা তরুণী বসবাস করেন। প্রায় ৬ মাস ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করছিল জুড়ী উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে সিএনজি চালক ৪ সন্তানের জনক ফয়েজ আহমদ। গত ১১ নভেম্বর সে নানাবাড়ি থেকে তরুণীটিকে বিয়ের কথা বলে সিএনজিতে তুলে গোলাপগঞ্জে খালার বাড়িতে নিয়ে যায়। দুই রাত সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শুক্রবার রাতে নানাবাড়িতে পৌঁছে দিতে গেলে তরুণীটি প্রতারণা ও ধর্ষণের বিষয় ফাঁস করে দেয়। এতে স্থানীয় লোকজন তাদের দু’জনকে আটক করে রাতেই থানায় সোপর্দ করে।
ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, শুক্রবার রাতে বর্নি এলাকার লোকজন এক তরুণীসহ ফয়েজ আহমদ নামক সিএনজি চালককে থানায় সোপর্দ করেন। স্বামী পরিত্যক্তা তরুণী শনিবার দুপুরে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। এ মামলায় ফয়েজ আহমদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে এবং ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।