নানা সমস্যায় জর্জরিত বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কয়েক বছর ধরে জনবল সংকটে ভুগছে। প্রায় আড়াই বছর পূর্বে ৩১ শয্যার হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্ত শয্যা অনুযায়ী বৃদ্ধি করা হয়নি হাসপাতালটির জনবল। ৩১ শয্যার শূন্যপদ নিয়েই ৫০ শয্যার সেবা দিতে গিয়ে একদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রতিনিয়ত হিমসিম খেতে হচ্ছে, অন্যদিকে উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

জানা গেছে, ৩১ শয্যার বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জনবল সংকট থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রধান অতিথি হিসেবে হাসপাতালটির ৫০ শয্যার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ৫০ শয্যার জনবল কাঠামো পুরণতো দুরের কথা ৩১ শয্যার প্যাটার্নের অনেক পদ আজও শূন্য। যার ফলে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৫ লক্ষাধিক মানুষ কাংখিত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। আড়াই বছর ধরেই ২টি মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, ১টি এক্সরে টেকনিশিয়ান ও ১টি রেডিওগ্রাফারের পদ শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ২টি পদই শূন্য, স্বাস্থ্য সহকারী পরিদর্শকের ৭টি পদের ৬টিই শূন্য। উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও এমএলএসের ১৩টি পদেও ৮টিই শূন্য। ৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মধ্যে আছেন মাত্র ১জন। আয়া পদে নেই কোন লোক। মিডওয়াইফের ৫টি পদের ৩টিই শূন্য। নিরাপত্তা প্রহরীর ২টি পদের ১টি শূন্য।

ভুক্তভোগীরা জানান, বড়লেখা হাসপাতালটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সেবার মানের উন্নতি হয়নি। হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করিলে ময়লা, আর্বজনা, দূগর্ন্ধ পাওয়া যায়। সামান্য কাটাছেড়ার রোগী নিয়ে গেলেই ডাক্তাররা রেফার করলেই যেন বাঁচেন। অনেক গর্ভবতিকে নিয়ে গেলে ডাক্তার না পাওয়ায় ক্লিনিকে নিয়ে ডেলিভারী করাতে হয়। রোগীদের ঔষধ বাহির থেকে কিনতে হয়। বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। নানা সংকট আর সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতাল যেন নিজেই রোগী।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস জানান, ৩১ শয্যার মধ্যেই জনবল সংকট। এরপর ওপর ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সংকট আরোও বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য রীতিমত হিমশিম খেতে হয়। জনবল সংকটের কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ