জুড়ীতে গোপনে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি গাছ গোপনে কেটে বিক্রি করা হলেও সংশ্লিষ্ট কেউই বিষয়টি জানেন না! ঘটনাটি উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের লাঠিটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সরেজমিন দেখা যায়, বিদ্যালয় আঙ্গিনায় নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। প্রাচীরের ভিতরে কয়েকটি গাছের গুড়ি পড়ে আছে এবং প্রাচীরের বাইরে গাছের বেশ কয়েকটি খন্ড স্তুপ করে রাখা হয়েছে। নির্মাণ শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপূজার আগে ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয় মাঠের বট, শিমুল ও রেইনট্রি প্রজাতির তিনটি গাছ কেটে বিক্রি করা হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা হবে। বড় আকারের তিনটি গাছ বিক্রি হয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক, সভাপতি, শিক্ষা অফিসার কেউই বিষয়টি জানেন না।
গাছ কাটার বিষয়ে অবগত নয় জানিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিছবাহ উদ্দিন বলেন, পূজার ছুটির কারণে কয়েকদিন বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফয়জুর রহমান বলেন, আমি কয়েকদিন অসুস্থ ছিলাম। শুনেছি কমিটির এক সদস্য গাছগুলো দশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করা বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মন্তোষ কুমার দেবনাথ বলেন, বিষয়টি জানতাম না, আপনার নিকট থেকে প্রথম শুনলাম। নির্ধারিত নিলাম প্রক্রিয়া ছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বা অন্য কিছু বিক্রির কোন সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট থেকে বিষয়টি শুনেই তাৎক্ষণিক ভাবে শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোন করে প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা এবং অবৈধ উপায়ে গাছ কাটা ও বিক্রি হওয়ায় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় বন বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করেন।