সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের পেট কেটে ফেললেন চিকিৎসক!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ফারজানা আক্তার (২২) নামের এক প্রসূতিকে সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে নবজাতকের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা শহরের কাউতুলী এলাকার দি আল ফালাহ মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

ফারজানা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার আখাউড়া উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী বাউতলা এলাকার তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘আমার স্ত্রী প্রসব বেদনা উঠলে রোববার সকালে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে নিয়ে আসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দি আল ফালাহ মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাই। সেখানে আমার স্ত্রীকে সিজারিয়ান করতে সাড়ে ১৬ হাজার টাকা চুক্তি করে। এরপর সেখানে মারুফা রহমান নামের একজন চিকিৎসক সিজারিয়ান অপারেশন করলে আমার স্ত্রী একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। কিন্তু নবজাতকের পেটের একপাশে রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা জানান, নাভি কাটতে গিয়ে কাচির আঘাত লেগেছে। বিষয়টি জানতে পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও জেলা সিভিল অফিসের কর্মকর্তারা হাসপাতালে আসেন। তবে তাদের আসার খবর পেয়ে হাসপাতালের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই পালিয়ে যায়।’

এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, ‘খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালটিতে যাই। হাসপাতালটির কোন লাইসেন্স নেই।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, ‘শিশুটির পেটে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে তেমন গুরুতর নয়। কিন্তু অদক্ষতার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিতে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন করা হচ্ছে। রোববার সকালেও দুইটি সিজারিয়ান অপারেশন হয়। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন প্রকার প্যাথলজি টেস্ট করা হয়। হাসপাতালটিকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বেসরকারি হাসপাতালটিকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ