সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগদাতাদের ধর্মঘটের হুমকি

 

ইন্টারনেট খাতে ৫ ও ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) জটিলতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।

শনিবার ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ হস্তক্ষেপ চেয়েছে।

আইএসপিএবির সভাপতি মো. আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আমরা ভ্যাট জটিলতা সমাধানের পাশাপাশি আইএলডিসি, আইআইজি এবং আইএসপি ইন্ডাস্ট্রিকে তথ্য-প্রযুক্তি সক্ষম পরিষেবাদি (আইটিইএস) ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছি।’

আইএসপিএবি এ মাসের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে ২-৩ ঘ্ণ্টা ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ রাখার হুমকি দেন।

আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ভ্যাট জটিলতার সমাধান না হলে সীমিত আকারে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে কবে তা হবে নির্দিষ্ট করে না জানিয়ে তিনি বলেন, সুবিধামতো সময়ে দুই থেকে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখব। কবে কখন এই কর্মসূচি নেওয়া হবে তা সংগঠনের নেতাদের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। জুলাই মাসের মধ্যে দাবি না মানা হলে এ কর্মসূচিতে যাব আমরা।

আমিনুল হাকিম বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে কর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও বিল আদায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেলেও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে আসছে।

তিনি জানান, ইন্টারনেটে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ভ্যালু চেইনের অন্যান্য (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারিত হওয়ায় ইন্টারনেট সেবা খাতে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আমরা এ সেক্টরে সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।’

দীর্ঘদিন ধরে সৃষ্টি হওয়া জটিলতার কারণে চলমান ইন্টারনেট সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে, তিনি যোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, এ সমস্যা সমাধান না করা হলে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টরনেটের মূল্য ৩০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

এর আগে ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় পরিষেবাগুলো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এবং এ খাতকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য আইএসপিএবি ৬১০ কোটি টাকার সরকারি অনুদান চেয়েছিল।

আইএসপিএবি টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের কাছেও এ বিষয়ে একটি আবেদন জমা দিয়েছে।

তারা কমপক্ষে দুই বছর ধরে ইন্টারনেট সেবা সরবরাহকারীদের ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে।

ডিএস/এএইচ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ