ঈদ পর্যন্ত বাড়তে পারে ছুটি
করোনাভাইরাস সৃষ্ঠ পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি আরও এক দফা বাড়িয়ে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত এই ছুটি বাড়তে পারে।এই লক্ষ্যে প্রক্রিয়া এগিয়ে রাখা হলেও বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি না বাড়িয়ে উপায় নেই। ‘সাধারণ ছুটি সংক্রান্ত সবকিছুই আমরা প্রস্তুত করে রেখেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই আমরা তা চূড়ান্ত করবো। বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। কারণ, এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও কিছু নির্দেশনা দিতে পারেন’-যোগ করেন মন্ত্রী।
আগামী ১৭ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত অর্থাৎ ঈদ পর্যন্ত ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনাভাইরাসের কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি ও বেসরকারি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করে। পরে আরও ছয় দফায় ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু দেশে এখনও করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি নেই। মঙ্গলবারও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৬ জন। এর আগের দিন রেকর্ড সহস্রাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১১ জন। রোববার মারা গেছেন ১৫ জন।সবমিলিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি যা, তাতে ছুটি আরও বাড়বে-এটাই স্বাভাবিক। ১৬ মে ও ঈদের ছুটির মাঝখানে কর্মদিবস মাত্র চারটি- ১৭, ১৮, ১৯, ২০ মে।
২১ মে শবে কদরের ছুটি। এরপর ২২ ও ২৩ মে সপ্তাহিক ছুটি। আবার ২৪ মে থেকে শুরু ঈদের ছুটি। ২৫ ও ২৬ মে’ও (সোম ও মঙ্গলবার) ঈদের ছুটি থাকবে। সরকারি ছুটির তালিকায় এভাবেই নির্ধারিত আছে। তবে রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে ঈদের ছুটি থাকবে ২৩, ২৪ ও ২৫ মে (শনি, রবি ও সোম)।
তাই এবারের ছুটি আগামী ২৬ মে পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে বলে মনে করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে ১৬ মে’র পর ছুটি বাড়বে কি বাড়বে না কিংবা ছুটি বাড়লেও কতদিন বাড়বে সেটা প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করছে।
এমনটিই জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ছুটির বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই সিদ্ধান্ত নেন। তার সিদ্ধান্ত আমরা এখনও পাইনি। দু-একদিনের মধ্যেই এটি আমরা জানতে পারব। তখনই জানা যাবে ছুটির বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।