বালাগঞ্জে পৃথক স্থানে হামলা-সংঘর্ষ, আহত ১৪
বালাগঞ্জে পৃথক পৃথক স্থানে হামলা-সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে প্রতিবেশীর হামলায় ৪জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- গ্রামের শহিদ উল্যা এবং তার মেয়ে ছালমা বেগম, ছেলে জামিল মিয়া ও স্ত্রী নাজমীন বেগম। আহতরা বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহত ছালমা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ৩ মে সকাল ১১টার দিকে হামলার ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার পর বালাগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় শহিদ উল্যার ছেলে জামিল মিয়া বাদি হয়ে ৩ মে রাতে বালাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে গ্রামের শাহাদ উল্যা এবং তার ছেলে রুসেল মিয়া, রাসেল মিয়া, ভাই আলমাছ উল্যা ও নিজাম উল্যাসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে পাশাপাশি বাড়িতে বসবাসকারী শহিদ উল্যা ও শাহাদ উল্যার পরিবারের মধ্যে দির্ঘদিন ধরে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। শাহাদ উল্যার ভাই নিজাম উল্যার কাছে দোকান বাকির টাকা চাওয়ায় শাহাদ উল্যা উত্তেজিত হয়ে তার নেতৃত্বে নিজাম উল্যাসহ দশ-বারো জন মিলে দেশীয় অস্ত্র-সন্ত্র নিয়ে শহিদ উল্যার বসতঘরে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। হামলায় শহীদ উল্যাসহ তার মেয়ে, ছেলে ও স্ত্রী আহত হন।
শহিদ উল্যার ছেলে জামিল মিয়া বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার বোনের মাথায় মারত্মক জখম হওয়ায় সাতটি সেলাই, আমার বাবার মাথায় চারটি ও আমার মাথায় দুইটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তারা আমার ঘরের দেয়াল ভেঙে দিয়েছে। ঘরের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান মালামাল ভাঙচুর করে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করেছে। ঘরের সকেছ ভেঙে ব্যবসার জন্য রাখা ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। থানায় অভিযোগ দেয়ায় হামলাকারীরা আমার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নজির আহমদ বলেন, পুর্ব বিরোধের জেরে মারামারি হয়েছে। শহিদ উল্যার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা ও তাদের ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের শিওরখাল গ্রামে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত দুই প্রবাসীর স্বজনদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে চুরিকাঘাতে এক সালিশ ব্যক্তিসহ ইট পাটকেলে উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়েছেন। আহত সালিশ ব্যক্তিসহ দুইজন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ৩ মে রাত দশটার দিকে এই ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার পর বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বালাগঞ্জ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান।