‘চিকিৎসক-নার্সদের খালিমুখে ধন্যবাদ নয়, পুরস্কৃতও করতে চাই’
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছেন সেই সব চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সরকার বিশেষভাবে পুরস্কৃত করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তাদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যাদেরকে পুরস্কৃত করবো তাদের তালিকাটা আমার দরকার। তাদের উৎসাহ দেওয়া আমাদের প্রয়োজন। তবে যারা ভয়ে পালিয়ে ছিলেন তারা প্রণোদনা পাবেন না। দায়িত্ব পালনকালে কেউ আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সরকার নেবে। পদমর্যাদা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবীমা করা হবে ‘
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৫ জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া ওই কনফারেন্সে তিনি বলেন, দুঃসময় আসছে। এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে হানা দিতে পারে।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় যারা জীবন বাজি রেখে কাজে নিয়োজিত, তাদের তিনি পুরস্কৃত করতে চান জানিয়ে তাদের তালিকা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
‘প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে এই বীমা পাঁচ গুণ বাড়ানো হবে। যারা করোনার সময় কাজ করছেন, জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন, এই প্রণোদনা তাদের জন্য।’
বিনা চিকিৎসায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোগী কেন ফেরত যাবে? রোগী দ্বারে দ্বারে ঘুরে কেন মারা যাবে? রোগী কোথায় কোথায় গেছে, সেসব ডাক্তারের নাম জানতে চাই।
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বাইরে যারা আছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে তারা রেশন কার্ড করতে পারবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা দিন আনে দিন খায়, ছোটখাটো ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, তাদের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। তারা নানা ধরনের কষ্ট সহ্য করছেন। অনেকে আছেন, যারা অনুদান নেবেন না, কিন্তু কিনে খেতে চান, তাদের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। যারা হাত পাততে পারবেন না, তাদের তালিকা করতে হবে। তাদের বাচ্চা নিয়ে যাতে কষ্ট না হয়। দুর্ভোগের সময় কেউ অনিয়ম করলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
পাশাপাশি উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, রোগ লুকাবেন না। এটি লজ্জার বিষয় নয়।