বাবা পলাতক, ৭ মাসের শিশু আইসোলেশনে
৭ মাস বয়সী শিশুকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তার পিতা সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে পলাতক রয়েছেন। কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে বৃহস্পতিবার সকালে ওই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়।
শিশুটির পিতা কয়েকদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে কুষ্টিয়া শহরের নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ঘটনা জানাজানির পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
ওইদিন পরিবারের সদস্যরা জানান, তাদের কেউ বিদেশে থেকে আসেননি বা প্রবাসী কারও সংস্পর্শে কেউ যাননি। ওই শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ওই শিশুটির অবস্থা অবনতির দিকে যায়। তাকে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে। তারা নমুনা সংগ্রহ করবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২৩ মার্চ ওই শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। ওই সময় তার জ্বর ঠাণ্ডা ও কাশি ছিল।
তিনি জানান, শিশুটি আপাতত বিপদমুক্ত নয়। স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের সব আলামতই রয়েছে ওই শিশুটির শরীরে।
ডা. তাপস কুমার সরকার আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসকরা ওই পরিবারের সদস্যদের আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এ সময় ওই পরিবারের এক আত্মীয় জানান, শিশুটির বাবা গত ৯ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসেন। তিনি পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে ছিলেন। এ তথ্য জানার সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে আইসোলেশনে নেয়া হয়। তবে তার বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ জানায়, ঘটনা জানাজানি হলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
সিঙ্গাপুর প্রবাসী ওই পরিবারটি কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকায় বাস করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বাড়িটি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বাড়ির ছাদে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে লাল পতাকা। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, সিঙ্গাপুর প্রবাসীর বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। পুলিশি প্রহরার পাশাপাশি বাড়ির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। -যুগান্তর