করোনা আতঙ্কে দিল্লিতে আত্মহত্যা
ভারতের রাজধানী দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এক ব্যক্তিকে ভর্তি করিয়েছিলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সন্দেহ ছিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ। তাঁর দেহরসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তির কিছু ক্ষণের মধ্যেই আটতলার জানলা দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি।
দেশে করোনাসংক্রমিতের সংখ্যা আজ বেড়ে হয়েছে ১৬৯। রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন জানিয়েছেন, বিদেশে ২৭৬ জন ভারতীয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২৫৫ জন আছেন ইরানে, ১২ জন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে, ৫ জন ইটালিতে, হংকং, কুয়েত, রোয়ান্ডা এবং শ্রীলঙ্কায় ১ জন করে। গত কাল বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব দাম্মু রবি বলেছিলেন, এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। কিন্তু স্বেচ্ছা-কোয়রান্টিনে যাওয়া মুরলীধরন এই হিসেব দিয়ে জানিয়েছেন, ইরান-কুয়েত-সহ আরব দেশগুলিতে ছ’হাজারেরও বেশি ভারতীয় আটকে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ইরান থেকে আজ সন্ধ্যায় আরও ১৯৫ জনকে ফিরিয়ে এনে জয়সলমেরে সেনা-শিবিরে রাখা হয়েছে।
সেনাবাহিনীতে প্রথম করোনা-সংক্রমণ ধরা পড়ার পরে সব বাহিনীকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করতে বলেছে কেন্দ্র। ‘যুদ্ধের’ প্রস্তুতি অবশ্য চলেছে দেশ জুড়েই। দিল্লি সরকার এখনও পর্যন্ত গণ-পরিবহণের ৭,৮৭৭টি গাড়ি জীবাণুমুক্ত করেছে। রোজ সকালে-বিকেলে দুই শিফটে নিখরচায় দেওয়া হচ্ছে এই পরিষেবা। এর মধ্যে পড়ছে অটোরিকশাও। সংশ্লিষ্ট গাড়িকে ‘জীবাণুমুক্ত’ শংসাপত্রও দেওয়া হচ্ছে। দিল্লির পরিবহণ মন্ত্রী কৈলাস গহলৌত বলেন, ‘‘গণপরিবহণের গাড়ির মালিক ও পরিচালকদের অনুরোধ, রোজ গাড়ি জীবাণুমুক্ত করিয়ে নিন, যাতে আমরা সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারি।’’ উপরাজ্যপাল অনিল বৈজলের সঙ্গে আজ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, দিল্লির কিছু কিছু অফিস আপাতত বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে আগামিকাল। তিহাড় জেলের বন্দিদের সঙ্গে পরিজনদের সাক্ষাৎ করাও আপাতত বন্ধ থাকছে।