টি ২০তেও দুর্বার টাইগাররা

ফরম্যাট বদলালেও ফর্ম বদলায়নি বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জয়ে শুরু বাংলাদেশের। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম খেলায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ড ২০০ রান করে ৪৮ রানের জয় পায় টাইগাররা। লিটন দাস আর সৌম্য সরকারের ব্যাটে ঝড় উঠেছিল। যে ঝড়ের বদৌলতে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান জমা হয় ২০০।

জয়ের জন্য ২০১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজের আগুনে বোলিং এবং লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের মায়াবি ঘূর্ণির ফাঁদে পড়ে জিম্বাবুইয়ানরা অলআউট হয়ে গেলো ১৫২ রানে।

ফলে ৪৮ রানের অনায়াস জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো বাংলাদেশ। গত বছর ভারত সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি জিতেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এরপর টানা চার ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। দুটি ভারতের কাছে এবং অন্য দুটিতে পাকিস্তানের কাছে।

অবশেষে জিম্বাবুয়েকে ডেকে এনে টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা পেলো বাংলাদেশ। মোস্তাফিজুর রহমান এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব নেন ৩টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব।

২০১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জিম্বাবুয়ে ইনিংসে আঘাত হানেন শফিউল ইসলাম। সফরকারীদের ওপেনার ব্রেন্ডন টেলরকে ফিরিয়ে দেন ১ রানেই। দলীয় রান তখন তাদের ১১।

এরপর ক্রেইগ আরভিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়েসলি মাধেভিরে রান আউট হয়ে যান ৪ রান করে। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় তিনাসে কামুনহুকামুয়ে আউট হন ব্যক্তিগত ২৮ রানে। জিম্বাবুয়ে ইনিংসে তিনিই সর্বোচ্চ সংগ্রাহক। অধিনায়ক শন উইলিয়ামস আউট হন ২০ রান করে।

সিকান্দার রাজা করেন ১০ রান, রিচমন্ড মুতুম্বামি করেন ২০ রান। মুতুমবোদজি ২ রানে, ডোনাল্ড তিরিপানো আউট হন ২০ রান করে। চার্ল মুম্বা করেন ২৫ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২০০ রান। শেষ মুহূর্তে ঝড় তোলেন সৌম্য সরকার। ৩২ বলে তিনি করেন ৬২ রান। এছাড়া লিটন দাস করেন ৩৯ বলে ৫৯ রান। তামিম ইকবাল ৩৩ বলে করেন ৪১ রান। ৮ বলে ১৭ রান করেন মুশফিক ও ৯ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ