দিল্লি ও মেঘালয়ে ফের হিন্দু সন্ত্রাসীদের হামলা, নিহত ২
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নতুন করে হিন্দু সন্ত্রাসীদের হামলায় আরও এক মুসলিম নিহত হয়েছেন।
এনিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ জনে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, আইয়ুব সাব্বির নামের ৬০ বছর বয়সী এই মুসলিম শুক্রবার নিহত হন।
সাব্বিরের ছেলে সালমান বলেন, মাথায় আঘাত পাওয়া তার বাবাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বাসার বাইরে না যেতে আমার বাবাকে সতর্ক করেছিলাম আমি। কিন্তু তিনি বললেন- পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আমরা এতোদিন ঘরে বন্দি হয়ে থাকলে কিছু আয়-রোজগার করতে পারব না।’
জিটিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দগ্ধ, ছুরিকাহত, জখম এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে লোকজন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা ২১৫ জনকে ভর্তি করিয়েছি।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভ বন্ধে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদি বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রার আল্টিমেটামের কয়েক ঘণ্টা পর রবিবার রাজধানী দিল্লিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সিএএ-বিরোধী মুসলিমদের ওপর সশস্ত্র হামলা শুরু করে হিন্দু সন্ত্রাসীরা।
পুলিশের সহযগিতায় ‘হিন্দুয়োঁ কা হিন্দুস্তান’, ‘জয় শ্রীরাম’- এসব স্লোগান দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মসজিদে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে এবার সংঘর্ষ শুরু হয়েছে ভারতের মেঘালয়ে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে শুক্রবার সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এক খবরে আজ এ তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিএএ নিয়ে গতকাল রাজ্যের পূর্ব খাসি উপত্যকায় খাসি ছাত্র সংগঠন (কেএসইউ) ও অজনজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। আহত হয়েছেন পুলিশসহ কয়েকজন।
পরে, শিলংসহ রাজ্যের ছয় জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।
গতকাল খাসি উপত্যকার ইছামতি এলাকায় সিএএ’র বিরোধিতা ও ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) নিয়ে কেএসইউ ও অজনজাতি সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে বৈঠক চলছিল। এর মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সে সময় ওই এলাকার অনেক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
রাজধানী দিল্লিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চারদিন ধরে চলা সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ।