সৌম্যের বিয়েতে হট্টগোল
ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের বিয়েতে হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র ও সৌম্যের বন্ধু অলিসহ তার স্বজনদের সাতটি মোবাইল চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
অনুষ্ঠানের মাঝে সৌম্যের মেঝ ভাই (ইনকাম ট্যাক্সের ডেপুটি কমিশনার) প্রণব কুমার সরকার খুলনা ক্লাবের কর্মচারীদের মোবাইল চুরির বিষয়ে অবহিত করে, চোরদের ধরতে গেলে ক্লাবের কয়েকজন কর্মচারী তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এসময় বর পক্ষের আরো কয়েকজন এগিয়ে এসে তাদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ক্লাবের সদস্যরা।
প্রায় আধাঘণ্টা থমকে যায় পুরো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তখন সাতপাকে ঘুরছিলেন বর। যে কারণে উঠে আসতে পারেননি সৌম্য।
সৌম্য সরকারের মামা স্বদেশ কুমার সরকার বলেন, প্রচণ্ড ভিড়ে গেট থেকে ঢোকার সময় দ্বীনবন্ধু মিত্রের মোবাইল চুরি হয়ে যায়। এরপর সৌম্যের বাবা ও বন্ধু অলিরটাসহ সাতটি মোবাইল চুরি হয়। চোরদের হাতে-নাতে ধরে ফেললে খুলনা ক্লাবের কর্মচারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনাটি খুলনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রথমেই আমলে নিলে সৌম্যের স্বজনদের মার খেতে হতো না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোবাইল চুরি হওয়ার পর হারানো মোবাইল নম্বরে ফোন দেন সৌম্যের স্বজনরা। তখন একজনের কাছে মোবাইল বেজে ওঠে। তাকে ধরলে তার কাছে পাঁচটি মোবাইল পাওয়া যায়। এ নিয়ে গণ্ডগোলোর সূত্রপাত হয়।
জানতে চাইলে সদর থানার ওসি আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে খুলনা ক্লাবের স্টাফ ও বরযাত্রীর লোকদের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। সেখানে কাউকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি, তবে ভিড়ের মধ্যে কারও গায়ে একটু ধাক্কা লাগতে পারে। দুই চোর থানায় আটক আছে। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
উল্লেখ্য, খুলনার মেয়ে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে খুলনা ক্লাবেই সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার। বুধবার রাতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চারটি প্রাইভেটকার, আটটি মাইক্রোবাস ও ছয়টি বাসের বহরে ৫০০ বরযাত্রী নিয়ে খুলনার উদ্দেশে রওনা হন সৌম্য। রাত ৮টায় তিনি খুলনায় এসে পৌঁছান।
এর আগে দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়ার লাল-সবুজ বাড়িতে ঢাক-ঢোল, কাশীর বাদ্য আর উলুধ্বনিতে পরিবার-পরিজনের উপস্থিতিতে গায়ে হলুদ হয়ে যায় সৌম্য সরকারের। এ সময় হলুদ মাখিয়ে সৌম্য সরকারকে জন্য আশীর্বাদ করেন বাবা-মা, ভাই-ভাবিসহ পরিবারের অন্য সদস্য এবং প্রতিবেশীরা।