চালকবিহীন গাড়িতে হোম ডেলিভারি

যুক্তরাষ্ট্রে পরীক্ষামূলকভাবে স্বয়ংচালিত একটি গাড়ি রাস্তায় চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। গাড়ির নেই স্টিয়ারিং হুইল, ব্রেক কষার প্যাডেল ও সাইডভিউ মিরর। বিবিসি বাংলা

নিউরো নামের একটি কোম্পানির তৈরি এই গাড়ি মূলত একটি ডেলিভারি ভ্যান। গাড়িটির নাম দেয়া হয়েছে আর-টু। এটি টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে পরীক্ষা করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী অ্যালেইন চাও বলেন, গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫ মাইল। কিন্তু ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্ট বলেছে, গাড়িটি রাস্তায় পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। তখন এর ওপর অনেক বেশি নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। এই আর-টু কখন কোথায় পরীক্ষা করা হচ্ছে।

চালকবিহীন এই গাড়ির কাজ হলো মানুষের বসার বা চালানোর কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। প্রয়োজন হলে একজন চালক গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। আর-টু সেদিক থেকে ব্যতিক্রম। এই গাড়ির কাজ হলো মানুষের বাসায় বাজার পৌঁছে দেয়া।

গাড়িটির আকৃতি ডিমের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ গাড়ির চেয়ে এটির আকার ছোট। এটিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত দুটি কম্পার্টমেন্ট রয়েছে। যাতে মালামাল রাখা যাবে।
আর দরজাগুলো খুলবে ওপরের দিকে। যখন এটি কারও বাড়িতে মালামাল ডেলিভারি দিতে যাবে, তখন প্রাপককে একটি কোড দিয়ে দরজা খুলতে হবে।
আর-টু রাস্তায় চলাচলের জন্য রাডার, থার্মাল ইমেজিং এবং ৩৬০ডিগ্রি ক্যামেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

নিউরো এরই মধ্যে ঘোষণা করেছে যে হিউস্টনে যখন পরীক্ষামূলকভাবে আর-টু চালানো হবে। তখন এটি ডোমিনোসের পিৎজা থেকে শুরু করে সুপারমার্কেট চেন ক্রুগার বা ওয়ালমার্টের মালামাল ডেলিভারি দেবে।

নিউরো নামের কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেছেন গুগলের দুজন সাবেক প্রকৌশলী। জাপানি প্রতিষ্ঠান ‘সফটব্যাংক’ এটিতে বিনিয়োগ করেছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ