দেশজুড়ে ‘ফাইভজি’ নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। এ সভায় ১০টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ৯টি ২ হাজার ৪২২ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, টেলিটকের দায়িত্ব বাড়াতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে টেলিটকের কার্যক্রম বাড়াতে হবে। এ প্রকল্পটি তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করে তারপর একনেকে উপস্থাপন করতে হবে।
‘গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন’ প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হলেও অনুমোদন দেয়নি। তৃতীয় কোনো পার্টিকে দিয়ে প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে পুনরায় একনেক সভায় উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা সচিব নুরুল আমিন বলেন, গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হলে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য সেটি আবার ফেরত দেওয়া হয়েছে।
‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিতে দেশজুড়ে ‘ফাইভজি’ নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে সরকার। এ লক্ষ্যে তিন হাজার ২৭৯ কোটি টাকার প্রকল্প চেয়েছিল টেলিটক।
বর্তমানে শহরাঞ্চলে বিদ্যমান টেলিটকের ‘ফোরজি’ নেটওয়ার্ক ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যন্ত প্রসারিত করে গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সুলভ মূল্যে দ্রুতগতির ফোরজি ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হবে।পর্যায়ক্রমে সরকার ঘোষিত লক্ষ্য অনুসারে, ২০২১-২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে ফাইভজি প্রযুক্তিনির্ভর মোবাইল সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।
চারটি লক্ষ্য সামনে রেখেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল নিশ্চিত করা হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক কার্যক্রম।
শহর-গ্রাম নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ যেন আধুনিক প্রযুক্তি সেবার উপকারভোগী হয়, তা নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করছে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।