সিলেট বিভাগে বেশি পেঁয়াজের চাহিদা

সাধারণ মানুষের একটি আস্তাভাজন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ’র (টিসিবি) সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় মৌলভীবাজারের শেরপুর খাদ্য গুদামে। এখান থেকে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় সংকটময় মুহূর্তে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। এখন চলে পেঁয়াজের অধ্যায়।

টিসিবি সূত্র জানা যায়, সাশ্রয়ীমূল্যে বিভিন্ন খাদ্য তৃণমূল জনসাধারণের হাতে পৌঁছে দেওয়াই টিসিবির অন্যতম লক্ষ্য। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলে সরকারের পক্ষে টিসিবি কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রে বাজার নিয়ন্ত্রণ সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে।

টিসিবি বিভাগীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিরতিহীনভাবে চলছে সিলেট টিসিবির কার্যক্রম। একটার পর একটা গাড়িতে লোড করা করা হচ্ছে পেঁয়াজ। খাদ্য গুদামেই ভেতরে শত শত পেঁয়াজের বস্তা রাখা রয়েছে।

টিসিবি সিলেটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান মো. ইসমাইল মজুমদার বলেন, আমাদের কাছে এখন ৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুদ আছে। এখান থেকেই সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিদিন ডিলারদের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় পেঁয়াজ। ডিলাররা সরাসরি সাশ্রয়ীমূল্যে ক্রেতাসাধারণের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেন।

বাজার সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা এখন পেঁয়াজকেই অধিক প্রাধান্য দিচ্ছি। মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে দুই উপজেলায় এই টিসিবি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চলছে। এ দুটো হলো মৌলভীবাজার সদর এবং জুড়িতে। প্রতিদিন একেক উপজেলায় প্রায় পাঁচ টন করে পেঁয়াজ যাচ্ছে। সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ পর্যন্ত পেঁয়াজ ভালো থাকে। ৬/৭ দিনের মধ্যে তা ভোক্তার হাতে পৌঁছে দিতে হবে। ২০ বা ২৫ কেজি ওজনের এ পেঁয়াজগুলো চীন ও তুরস্ক থেকে আসা। কেজিপ্রতি সরকার নির্ধারিত মূল্য ৩৫/-টাকা।

প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জায়গা সম্পর্কে এ প্রতিষ্ঠান প্রধান বলেন, খাদ্য গুদামের পাশে দেড় একর জায়গায় আমাদের টিসিবির নিজস্ব দালান ভবন নির্মাণকাজ শুরু হবে চলতি বছরের জুন মাসে। এখানে অত্যাধুনিক কোল্ডস্টোরিজ (হিমাগার) নির্মিত হবে। চট্টগ্রাম, রংপুর এবং আমাদের সিলেটে এক সঙ্গে এই হিমাগার নির্মাণের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

পেঁয়াজ সম্পর্কে তিনি উল্লেখযোগ্য একটি তথ্য জুড়ে দিয়ে বলেন, অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, সিলেটেই পেঁয়াজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সে লক্ষ্যেই আমরা জনসাধারণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। টিসিবি কার্যক্রম না থাকলে স্থানীয় মার্কেটের ব্যাপক প্রভাব পড়ে। অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্নপন্থা অবলম্বন করে দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধি করে থাকেন।

আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে আমরা শিগগিরই ছয়টি বিশেষ পণ্য আমাদের ডিলারদের কাছে পৌঁছে দেবো বলে কথা প্রসঙ্গে জানান এই কর্মকর্তা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ