লাখো মানুষের উপস্থিতিতে মাও. আযহার আলী জানাযা সম্পন্ন
লাখো আলেম-উলামা, মুসল্লীদের উপস্থিতিতে প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন মরহুম মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। জানাযার নামাযের ইমামতি করেছেন হযরতের ছোট ছেলে মাওলানা আনযার শাহ তানীম। আজ বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি দুপুর ২ টা ৫ মিনিটে সম্পন্ন হয় জানাযার নামায। দেশের বিশিষ্ট উলামায়ে কেরাম অংশ নেন শীর্ষস্থানীয় এ আলেমেদ্বীনের জানাযায়।
জানাযায় অংশ নিতে সারাদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত,মুরীদ ও ছাত্ররা জমায়েত হন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এদিন শোলাকিয়ায় নামে ধর্মপ্রাণ মানুষের ঢল। শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে সকাল থেকেই উপস্থিত হতে শুরু করেন তৌহিদী জনতা। সারাদেশ থেকে আগত মুসুল্লি ও আলেম-উলামার উপস্থিতিতে শোলাকিয়া ময়দান জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। জানাযায় আগত মুসুল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ির পরিচালকল মাওলানা মাহমুদুল হাসান,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, বারিধারা জামিয়া প্রিন্সিপাল মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী,মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতি ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা আবদুর রহমান হাফেজ্জী, মাওলানা আবদুল হক, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী প্রমুখ।
এছাড়াও জানাযায় অংশ নিয়েছেন মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক মাওলানা উবাউদুর রহমান খান নদভী, মাওলানা আবদুল লতিফ নিজামী ,মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মামুনুল হক্ব, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু ছাড়া আরও অনেক শীর্ষস্থানীয় আলেম জানাযায় অংশ নেন।
শোলাকিয়ার বিশাল মাঠ দুপুর ১২ টার দিকেই কানায় কানায় ভরে যায়। মাঠেই মুসল্লীরা জুহরের নামাজ আদায় করেন। জায়গা না পেয়ে মাঠের আশে পাশের রাস্তায়, বাড়ির ছাদে, দোকান পাটে দাাঁড়িয়ে মানুষ জানাযায় শরিক হয়। শোলাকিয়া মাঠের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে হযরতকে দাফন করা হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
গতকাল বুধবার ২৯ জানুয়ারি বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে চিকৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমেদ্বীন আযহার আলী আনোয়াে শাহ। তিনি ছিলেন একাধারে বেফাকুল মাদারিসের সিনিয়র সহ সভাপতি, হাইআতুল উলয়ার সম্মানিত সদস্য, কিশোরগঞ্জের জামিয়া ইমদাদিয়ার মহা পরিচালক এবং ঐতিহ্যবাহী শহিদী মসজিদের খতিব।