ড. আহমদ আল ওয়ালী : অসাধারণ এক সাধারণ-মানুষ

অসাধারণ এক সাধারণ-মানুষ অনেকের স্বপ্নের দেশ কানাডা’র স্থায়ী নাগরিকত্ব থাকার পরও দেশে থাকার উদাহরণ বিরল। কিন্তু ক্লিন ইমেজের অধিকারী ,মৃদুভাষী আমাদের প্রিয় স্যার ড.আহমদ আল ওয়ালী একটু ব্যতিক্রম । তিনি নিয়মিত থাকেন দেশে। মাঝে মাঝে ঘুরতে যান কানাডায় । জানতে চাইছিলাম স্যার , কানাডা থেকে দেশে ফিরলেন এবংনিয়মিত থাকছেন। আপনার ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি? দেশপ্রেমীক ড. ওয়ালীর সোজাসাপটা জবাবটা রীতিমত আমাদের ভাবায়। যেন জননী সাহসিকা কবি সুফিয়া কামালের কবিতার চরণ-ই, মুক্ত আকাশে মুক্ত মনের সেই গান চলে ভেসে জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে। এই দেশের সাথে তাঁর মনের টান বেশ গভীর। ভালোবাসা সীমাহীন। বেঁচে থাক সেই ভালোবাসা । সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্ম নেয়া এই অবিভাবক অনেক পরিচয়ে পরিচিত। একজন ভালো সংগঠক হিসেবে তিনি যে রকম আদশর্বান, মানুষ হিসেবে ঠিকই সেরকম মানবিক। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। ভালোবাসেন দেশ এবং দেশের মানুষকে। এরকম ভালোবাসার চিত্র ফুটে এসেছে বঙ্গঁবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে- “একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃকতির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা,যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে। ” তাঁর ভাবনায় বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষ। তাইতো নিস্বার্ত ভালোবাসেন মানুষকে। এগিয়ে যান স্যার,আপনার পেছনে আছে মানুষের ভালোবাসা। শুধু ভালোবাসা । ড.আহমদ আল ওয়ালী ১১ অক্টোবর ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ইছামতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনার শুরু । ১৯৮৮ সালে তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা থেকে কৃতিত্বের সাথে কলেজ জীবন সমাপ্ত করেন। ১৯৯২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে বিদেশে পাড়ি জমান। ২০০৮ সালে কৃতিত্বের সাথে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। খ্যাতিমান এই মানুষটি “RTM International Ltd. এর Managing Director & CEO এবং SHIMANTIK এর President হিসেবে কৃতিত্বের সাথে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আমাদের কাছে নিজ পরিচয়ে পরিচিত । তবুও বলি, তিনি মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.আহমদ আল কবির স্যারের কনিষ্ঠ ভ্রাতা। তাঁর পিতা ডা.তুফাজ্জল আলী মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সরকারি চাকুরী ছেড়ে মুক্তিযোদ্ধার সংগঠক হিসেবে কাজ করেন এবং ২১ নভেম্বর জকিগঞ্জ মুক্ত হওয়ার পর জকিগঞ্জে স্বাস্থ্য প্রসাসকের দ্বায়িত পালন করেন। “সীমান্তিক”সিলেটের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত এক নাম। উল্লেখ্য, দেশের বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা সীমান্তিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র বিমোচন ও মানব উন্নয়নসহ দেশের জাতীয় উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিতে সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে ছয়টি খাতে কাজ করছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণা, সচেতনতা এবং পরিবেশ ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। কবির স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই সংস্থা। শক্তিশালী ( Life Member হিসেবে ) ভুমিকা রেখে চলেছেন ড.আহমেদ আল ওয়ালী স্যার । কানাডা প্রবাসী অত্যন্ত সজ্জন এই মানুষটি দেশ প্রেমের এক জ্বলন্ত প্রমাণ ও বটে। কানাডায় আস্তা প্রতিষ্টিত এই প্রিয় মানুষ দেশের স্বাস্থ্য খাতে ভুমিকা রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রিয় স্যারের জন্য সীমাহীন ভলোবাসা। ভালোবাসি স্যার ।।

 লেখক: শিক্ষক ও গবেষক ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ